চন্দ্রাভিযানে মহাগুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখল ভারতের দুই অখ্যাত গ্রাম, কী অবদান জানেন কী
চাদেঁর ভূপৃষ্ঠে যে বালির আস্তরণ আছে সেই একই আস্তরণের মাটি রয়েছে পৃথিবীতেও।
চাদেঁর ভূপৃষ্ঠে যে বালির আস্তরণ আছে সেই একই আস্তরণের মাটি রয়েছে পৃথিবীতেও। সর্বোপরি তা এই ভারতবর্ষেই রয়েছে। যেরকম পৃষ্ঠ প্রয়োজন চাঁদে ল্যান্ডার অবতরণের জন্য, ঠিক একই বালুকাময় মাটি রয়েছে তামিলনাড়ুর দুটি গ্রামে। দুটি গ্রামের নাম হল সীতামপুণ্ডি ও কুন্নামালাই। এই গ্রামের মাটি চন্দ্রাভিযানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখল।
চন্দ্রযান ২-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর মাইলস্বামী আন্নাদুরাই জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-এর অবতরণের সময় প্রথমবার সারফেস ল্যান্ডিংয়ের জন্য মাটি প্রয়োজন ছিল। যে মাটি চাঁদের পৃষ্ঠে রয়েছে। সেই সময় ১০ কেজি বালুকাময় মাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনতে হয়েছিল। যার প্রতি কেজির খরচ পড়েছিল ১৫০ ডলার।
তবে ২০১০ সালে চন্দ্রযান ২ এর পরীক্ষার সময় ৬০-৭০ কেজি বালুকাময় মাটির প্রয়োজন হয়। এত পরিমাণ বালি চড়ামূল্যে আমেরিকা থেকে নিয়ে আসার আগে তাই পরিবর্ত পন্থা ভাবতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। তারপরেই নামাক্কালের কাছে খোঁজ মেলে এই দুই গ্রামের। এবং সেখানকার মাটি এনে প্রথমে ইসরোয় পরীক্ষা করে দেখা হয়। যে মাটির সঙ্গে মিল রয়েছে চাঁদের পৃষ্ঠের।
তারপরই ইসরোর বিজ্ঞানীরা একেবারে বিনা পয়সায় যতটা প্রয়োজন ততটা মাটি নামাক্কালের এই গ্রাম থেকে এনে পরীক্ষার কাজে লাগিয়েছেন।
যদি গ্রামবাসীরা তখন জানতে পারতেন এমন একটি বড় কাজে তাদের গ্রামের মাটি লাগবে তখন তারা নিঃসন্দেহে খুবই খুশি হতেন। তবে বিষয়টি তাদের বলা হয়নি। কিন্তু এখন তা জানতে পেরে সকলেই খুশিতে আত্মহারা। চাঁদের পৃষ্ঠের মতো মাটি এদেশেরই দক্ষিণ অংশে রয়েছে তা নিঃসন্দেহে অবাক করার মতো বিষয়।