কোভিড আইন ভেঙে ত্রিপুরায় বিয়ের অনুষ্ঠান, আচমকা হানা দিয়ে বিয়ে ভণ্ডুল করলেন জেলা শাসক
কোভিড আইন ভেঙে ত্রিপুরায় বিয়ের অনুষ্ঠান, আচমকা হানা দিয়ে বিয়ে ভণ্ডুল করলেন জেলা শাসক
রাজ্যে কোভিড–১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে রাজ্যে। অথচ হুঁশ নেই ত্রিপুরাবাসীর। পশ্চিম ত্রিপুরা জলা শাসক ডঃ শৈলেশ কুমার যাদব শহরের দু’টি বিয়ে বাড়ি ভাড়া দেওয়ার হল এক বছরের জন্য সিল করে দিলেন এবং সোমবার রাতে জমায়েত হওয়া অতিথিদের বিরুদ্ধে মহামারি সংক্রমণ বিধি ভেঙে জমায়েত আইন, বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ও নৈশ কার্ফুর নিয়ম লঙ্ঘন করার ধারা আরোপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।
করোনা
সংক্রমণ
রুখতে
ত্রিপুরাতে
জারি
করা
হয়েছে
নৈশ
কার্ফু।
কিন্তু
সরকারি
নির্দেশকে
তোয়াক্কা
না
করেই
ত্রিপুরার
আগরতলার
দু'টি
অনুষ্ঠান
বাড়ি
ভাড়া
নিয়ে
ধুমধাম
করে
চলছিল
বিয়ের
অনুষ্ঠান।
সরকারি
বিধি
ভেঙে
অতিথি
সংখ্যাও
ছিল
অত্যাধিক।
তবে
সোমবারই
আচমকা
দুই
বিয়েবাড়িতে
পুলিশ
নিয়ে
হানা
দেন
জেলাশাসক
এবং
বিয়ের
অনুষ্ঠান
একেবারে
বন্ধ
করে
দেন।
বিধি
ভঙ্গের
অভিযোগে
বর
কনে
সহ
বিয়েবাড়িতে
উপস্থিত
প্রত্যেককেই
গ্রেফতারের
নির্দেশ
দেন
জেলা
শাসক
শৈলেশ
কুমার
যাদব।
শুধু তাই নয়, ত্রিপুরা রাজ পরিবারের মালিকানাধীন ওই নামী দু'টি বিয়েবাড়ির বাইরে পুলিশও মোতায়েন করা ছিল বলে অভিযোগ৷ যা দেখে আরও রেগে যান জেলাশাসক ৷ বিধি ভেঙে বিয়ের অনুষ্ঠান হলেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় আগরতলা পূর্ব থানার ওসিকে সাসপেন্ড করার জন্য তিনি সরকারকে সুপারিশ করবেন বলেও জানান শৈলেশ কুমার যাদব ৷ পাশাপাশি ওই বিয়ে বাড়ি দু'টি এক বছরের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি ৷ বিয়ে ভণ্ডুলের এই ভিডিও ভাইরাল ইতিমধ্যেই। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গ্রেফতারি এড়াতে জেলাশাসকের সামনে রীতিমতো কাকুতি মিনতি করছেন বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির বর, কনের বাড়ির লোক ৷
জেলা শাসকের অভিযোগ, সরকারের জারি করা নৈশ কার্ফুর মধ্যে বিয়ে বাড়ি তো চলছিলই, পাশাপাশি মহামারি আইনও ভেঙেছেন বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত প্রত্যেকেই ৷ সংবাদমাধ্যমের সামনে জেলাশাসক অভিযোগ করেন, সব জেনেও চুপ করে বসেছিল স্থানীয় থানা ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতারও অভিযোগ করেন তিনি ৷ তবে জেলাশাসকের এই ভূমিকায় অবশ্য খুশি সাধারণ মানুষ ৷ তাঁদের দাবি, আরও আগে এমন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল প্রশাসনের ৷