বিজেপির মোক্ষম চালে মাত কংগ্রেস, বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার বাঁচানোর প্রয়াস গোয়ায়
গোয়ায় সরকার বাঁচাতে কংগ্রেসকে পাল্টা দেওয়ার রাস্তায় হাঁটল বিজেপি। বিপক্ষের ঘর ভেঙেই তারা সরকার বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠল এবার।
গোয়ায় সরকার বাঁচাতে কংগ্রেসকে পাল্টা দেওয়ার রাস্তায় হাঁটল বিজেপি। বিপক্ষের ঘর ভেঙেই তারা সরকার বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠল এবার। কংগ্রেসের দুই বিধায়ক রাতারাতি দিল্লি উড়ে যাওয়া থেকেই জল্পনার শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার পর দুই বিধায়কের বিজেপিতে যোগদান স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাতের বিমানে দিল্লিমুখী বিধায়ক
কংগ্রেসের দুই বিধায়ক সোমববার রাতেই দিল্লি অভিমুখে রওনা দেন। রাতের বিমানে তাঁদের সঙ্গে চিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শরিপদ নায়েকও। তাতেই জল্পনার পারদ চড়ে যায়। কংগ্রেসের দুই বিধায়ক মঙ্গলবার দেখা করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে। তাঁরা জানান, তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।
|
গোয়া কংগ্রেস ভাঙন
মুখ্যমন্ত্রীকে হারানো কংগ্রেস বিধায়ক দয়ানন্দ সোপ্তে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। তাঁর সঙ্গে সুভাষ শিরোদকারও কংগ্রেস যোগ দিচ্ছেন। তাঁরা জানান, আরও দু-একজন বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে তাঁদের সঙ্গে আসতে পারেন। এর আগেও কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়েছিল বিজেপি। ফের সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস ভেঙে হালে পানি পাওয়ার চেষ্টা অমিত শাহদের।
কংগ্রেস ছাড়ছেন ‘হেভিওয়েট’
২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মানদ্রেম কেন্দ্র থেকে দয়ানন্দ সোপ্তে হারিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীকান্ত পারসেকরকে। সেই জায়েন্ট কিলার বিধায়কই এবার পা বাড়ালেন বিজেপির দিকে। সেইসঙ্গে শিরোদ কেন্দ্র থেকে জয়ী শিরোদকারও কংগ্রেস ছাড়লেন। বিজেপির শক্তি বাড়ল দুজনের যোগদানে।
গোয়ায় আস্থা ভোটের সম্ভাবনা
গোয়ায় সম্প্রতি আস্থা ভোটের সম্ভাবনা তৈরি হয় মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পার্রিকরের অনুপস্থিতিতে। তিনি সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। যদিও তিনি দুদিন আগে বাড়ি ফিরেছেন। যেহেতু মনোহর পার্রিকর মুখ্যমন্ত্রী হলে বিজেপিকে সমর্থনের শর্ত রয়েছে জোটসঙ্গীর, সেহেতু বিজেপি সমস্যায় পড়ে যায় মনোহর পার্রিকর বিহনে।
কংগ্রেস আবেদন সরকার গড়ার
কংগ্রেস গোয়ার রাজ্যপালের কাছে সরকার গড়ার আবেদন করেছিল। জানিয়েছিলেন বিজেপির সঙ্গে পর্যাপ্ত সংখ্যা নেই। তাঁরা বৃহত্তম দল, তাই তাঁদের সরকার গড়ার অনুমতি দেওয়া হোক। এই অবস্যায় কংগ্রেসের বৃহত্তম তকমা কাটতে মরিয়া হয়ে ওঠে বিজেপি। বিজেপি দুই কংগ্রেস বিধায়ককে ভাঙিয়ে মোক্ষম জবাব দেয়।
গোয়া বিধানসভায় বর্তমান চিত্র
কংগ্রেসের হাতে এদিন পর্যন্ত ছিল ১৬। আর বিজেপির ১৪। এই অবস্থায় দুজন কংগ্রেস বিধায়কের যোগদানের অর্থ অবস্থান বদল হয়ে য়াওয়া প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের। বাকি ১০টি আসন ভাগাবাগি করে নিয়েছিল অন্য দলগুলি। গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি, এমজিপি ও নির্দল পেয়েছিল তিনটি করে আসন, একটি আসন পায় এনসিপি।
কংগ্রেস বৃহত্তম দল, ফের ব্যর্থ
বৃহত্তম দল হয়েও রাজ্যে সরকার গড়তে ব্যর্থ হয়েছিল কংগ্রেস। ভোটে হেরেও বিজেপি কিস্তিমাত করেছিল ছোট দলগুলিকে নিয়ে। মনোহর পার্রিকরকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার শর্তে সমর্থন পেয়েছিল বিজেপি। তারপর কংগ্রেস ভাঙিয়ে বিধায়ক নিয়ে আসার খেলা জারি রাখে বিজেপি। এবার সংকটে পড়তে ফের ভাঙন-অস্ত্র প্রয়োগ বিজেপির।