প্রত্যাশিত ভাবেই মানিকের ছাড়া আসনে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত বিপ্লব দেব
রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। গত মাসখানেক আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এরপরেই ত্রিপুরার একটি মাত্র আসন থেকে লড়াইয়ের জন্য বিপ্লব দেবের নাম ঘোষণা করে
রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। গত মাসখানেক আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এরপরেই ত্রিপুরার একটি মাত্র আসন থেকে লড়াইয়ের জন্য বিপ্লব দেবের নাম ঘোষণা করে বিজেপি। আর তাতেই নির্বাচিত হলেও তিনি।
একেবারে প্রত্যাশিত ভাবেই নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন বিপ্লব দেব। নির্বাচনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ৪৩টি ভোট পান। অন্যদিকে সিপিএম প্রার্থী এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ভানুলাল সাহা মাত্র ১৫ টি ভোট পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। বলে রাখা প্রয়োজন, ৬০ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপির কাছে ৩৬ টি আসন রয়েছে। এবং তার জোটের অংশীদার ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (আইপিএফটি) ৭টি আসন রয়েছে।
সিপিএমের কাছে ১৫টি আসন এবং কংগ্রেসের কাছে একটি মাত্র আসন রয়েছে সে রাজ্যের বিধানসভাতে। খবরে প্রকাশিত অনুযায়ী, কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক রাজ্যসভার নির্বাচনে অংশ নেননি।
সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরে বিপ্লব কুমার দেব তার টুইটারে লিখেছেন, আমাকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত করার জন্য ত্রিপুরার বিজেপি এবং আইপিএফটি বিধায়কদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। শুধু তাই নয়, রাজ্যসভায় ত্রিপুরার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার জন্যে মোদী, শাহ এবং জেপি নাড্ডাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। মাতা ত্রিপুরেশ্বরীর আশির্বাদে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ত্রিপুরার মানুষরের সেবা করবেন বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা।
Gratitude to the BJP and IPFT MLAs of Tripura for electing me as a Rajya Sabha MP. Gratitude to PM Sri @narendramodi Ji, @BJP4India President Sri @JPNadda Ji & HM Sri @AmitShah for giving me this opportunity to represent Tripura in Rajya Sabha. (1/2) pic.twitter.com/qYrEWduT1v
— Biplab Kumar Deb (@BjpBiplab) September 22, 2022
উল্লেখ্য, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর মানিক সাহাকে ওই পদে নিয়ে আসা হয়। যিনি কিনা রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন সে রাজ্য থেকে। মানিক সাহা পদত্যাগ করার পর রাজ্যসভার আসনটি শূন্য হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে দীর্ঘ ১৬ বছর কাটানোর পর বিপ্লব দেব সে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের তিন বছর আগে বিজেপির মহাজনসম্পর্ক অভিযানের ইনচার্জ হিসাবে ২০১৫ সালে ত্রিপুরায় ফিরে আসেন। এরপর এক বছরের মাথায় সে রাজ্যের বিধানসভার রাজ্য সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়। একটি আঞ্চলিক আদিবাসী রাজনৈতিক দল IPFT-এর সাথে জোটে তার দল ক্ষমতায় আসার পর ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী হন বিপ্লব দেব।
কেন্দ্রিয় নেতৃত্বের সুনজরেই ছিলেন তিনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যে দলকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বিপ্লব দেবকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সামনেই সে রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচন। এর আগে বিপ্লব দেবকে সরিয়ে দেওয়া কার্যত সংস্কারি পদক্ষেপ বলে ব্যাখ্যা রাজনৈতিকমহলের।
তৃণমূল নেতা রাজু সাহানির বিদেশের ব্যবসার বিষয়ে জানতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ সিবিআই