ত্রিপুরায় আগ্রাসী তৃণমূল! সোনিয়ার পদক্ষেপ সত্ত্বেও আরও বড় ভাঙন কংগ্রেসে, ইস্তফা প্রদেশ সভাপতির
ত্রিপুরায় (tripura) আগ্রাসী তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool congress) । গতমাস থেকে সক্রিয় হওয়ার পরে বর্ষীয়ান কংগ্রেস (congress) নেতা সুবল ভৌমিক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে কিছু দিনের মধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন ব
ত্রিপুরায় (tripura) আগ্রাসী তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool congress) । গতমাস থেকে সক্রিয় হওয়ার পরে বর্ষীয়ান কংগ্রেস (congress) নেতা সুবল ভৌমিক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে কিছু দিনের মধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ জিতেন সরকারও। অন্যদিকে এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীয়ূষ বিশ্বাস পদত্যাগ করেছেন।
ত্রিপুরায় তৃণমূলের তৎপরতা
মে মাসে বাংলা জয়ের পরেই তৃণমূলের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এবার তাদের লক্ষ্য দেশের বিভিন্ন রাজ্য। সেই মতো উত্তর প্রদেশ মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে দলীয় অফিস খুলেছে তৃণমূল। কেরলে তৃণমূলের রাজ্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। অসমে কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেব তৃণমূলে যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে শক্ত করেছেন। তবে তারই মধ্যে তৃণমূল সব থেকে বেশি লাভবান হয়েছে ত্রিপুরায়। প্রথমে আইপ্যাকের টিমকে পাঠিয়েছিল তৃণমূল। তাদের সেখানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এরপর সেখানে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁৎ গাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। সেখানে যান দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহারা। আমবাসায় তাঁদের ওপরও হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। সেই সময় আরও একবার ত্রিপুরায় যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সব তিনি ও সঙ্গে যাওয়া দোলা সেন, কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ মামলা দায়ের করা হয়েছে। যে মামলার শুনানিও শুরু হয়েছে ত্রিপুরা হাইকোর্টে।
আইপ্যাকের সদস্যদের হয়ে আদালতে প্রদেশ সভাপতি
গত কয়েক দিনে অনেক কংগ্রেস নেতাই তৃণমূলের কাছাকাছি হয়েছেন। আইনজীবী তথা প্রদেশ কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা সুবল ভৌমিক ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত প্রদেশ সভাপতি আইপ্যাকের ২৩ জন সদস্যের হয়ে আদালতে সওয়াল করেছেন। আদালতে তিনি বলেন, গৃহবন্দী করে ২৩ জনকে কেবলই হয়রানি করা হচ্ছিল। তারপর থেকেই তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়া জল্পনা তীব্র হয়। তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কি ভারপ্রাপ্ত প্রদেশ সভাপতিও তৃণমূলের পথে। তবে সেই জল্পনারও অবসান হতে যাচ্ছে। কেননা শনিবার সকালে তিনি নিজের পদত্যাগপত্র দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, তিনি তাঁর নিজের পেশাতেই ফিরে যাচ্ছেন। যদিও অনেকেই বলছেন, তৃণমূলে তাঁর যোগ দেওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা।
ত্রিপুরার জন্য পর্যবেক্ষক নিয়োগ সোনিয়ার
তবে ত্রিপুরায় কংগ্রেসে দোলাচল পরিস্থিতির মধ্যেই সেখানে পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রাক্তন আইপিএস অজয় কুমারকে নিয়োগ করেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। এরই মধ্যে অবশ্য এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ পাণ্ডে এবং ছত্তিশগড়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিএস সিংদেও বৈঠক করেছিলেন ত্রিপুরায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে। সেখানেই উঠে আসে রাজ্যে তৃণমূলের সক্রিয়তা প্রসঙ্গও। সেই সময় প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি মহারাজা প্রদ্যোত মাণিক্যের দলের অবস্থান নিয়েও আলোচনা হয়। এআইসিসির তরফে বেনুগোপাল ত্রিপুরার ভারপ্রাপ্ত প্রদেস সভাপতিকে জিজ্ঞাসা করেন দলের অবস্থান সম্পর্কে। সেই সময় প্রদেশ সভাপতি হাইকমান্ডের নিষ্ক্রিয়তার দিরেই আঙুল তোলেন বলেই সূত্রের খবর। তিনি নাকি বলেছিলেন, তৃণমূল আগ্রামী মনোভাব নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ত্রিপুরায়। কিন্তু তার কোনও অংশ কংগ্রেসের মধ্যে নেই। তিনি স্পষ্ট বলে দেন, আইপ্যাকের টিম পাঠানোর পরে ত্রিপুরার জন্য আইটি সেল তৈরি করে ফেলেছে তৃণমূল। বিজেপির মোকাবিলায় সেই সক্রিয়তা বাম কিংবা কংগ্রেস কোনও দলের মধ্যেই নেই।
বিজেপির ছাড়া অংশ দখল করতে পারছে না বাম-কংগ্রেস
সূত্রের খবর অনুযায়ী পীযূষ বিশ্বাস হাইকমান্ডকে জানিয়েছেন, তৃণমূল যেমন কংগ্রেস ও বামেদের শিবিরে ভাঙন ধরিয়েছে, তারা ভাঙন ধরিয়েছে বিজেপিতেও। কিন্তু সেখানে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া থাকলেও বিজেপির বিরোধী কোনও জায়গায় দখল করতে পারছে না বাম-কংগ্রেস। সেই কারণেই ত্রিপুরায় উঠে আসছে তৃণমূল। বিপ্লব দেবের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরা সফরের পরে সেরাজ্যে তৃণমূলের ঝাঁঝ বেড়েছে। আর সামনের মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ত্রিপুরা সফর করেন, তাহলে তৃণমূলের ঝাঁঝ আরও বাড়বে বলেও জানিয়ে দেন তিনি। অন্যদিকে বামেরা দাবি করেছে, তা প্রতিদিনই সেৎানে মিছিল-মিটিং করছেন এবং মানুষের দাবি নিয়ে লড়াই করছেন। ফলে তাঁরা যে মানুষের সামনে নেই, ত কখনই বলা যাবে না। কেননা মিডিয়া বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলকে নিয়েই মেতে রয়েছে।
ঘুষ-অস্তিত্বহীনকে টাকা! MGNREGA-তে কোটি কোটি টাকা অপচয়ের তালিকায় মমতার বাংলাও