ত্রিপুরায় বিজেপির ৪৮ জনের প্রার্থী-তালিকা! নেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নাম, প্রার্থী CPIM ত্যাগী বিধায়কও
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। এই তালিকায় রয়েছে ৪৮ জনের নাম।
মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার দুদিন আগে ত্রিপুরায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল শাসক বিজেপি। তবে ৬০ আসনের সবকটিতে প্রথম তালিকায় নাম নেই। এদিন তারা ৪৮ টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। যেখানে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ৮ নং টাউন বড়দোয়ালি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
তবে প্রার্থী তালিকায় ত্রিপুরার প্রথম বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের নাম নেই।
|
প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
রাজ্যসভার সদস্য তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের নাম এবারের নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় না থাকলেও নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের। তাঁকে ধনপুর থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। বিল্পব দেবের বনমালিপুর থেকে প্রার্থী করা হয়েছে রাজ্য বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যকে।
কৈলাশহর থেকে প্রার্থী বর্তমান সিপিএম বিধায়ক
কংগ্রেসকে আসন ছাড়ার কারণে সিপিআইএম-এর প্রার্থী তালিকায় নাম ছিল না কৈলাশহরের বিধায়ক মাবোসার আলির। তিনি বুধবার দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এদিন প্রকাশিত হিজেপির প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে কৈলাশহর থেকে।
|
একনজরে ত্রিপুরায় বিজেপির প্রার্থী তালিকা
বিজেপির ৪৮ জনের প্রার্থী তালিকায় তফশিলি জাতির প্রার্থী রয়েছেন ৮ জন এবং উপজাতি প্রার্থী রয়েছেন ৮ জন। চড়িলাম কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মাকে। মোহনপুর থেকে প্রার্থী রতনলাল নাথ, মজলিশপুর থেকে প্রার্থী সুশান্ত চৌধুরী, বাগমা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী রামাপদ জমাতিয়া, রাধা কিশোরপুর থেকে প্রার্থী প্রাণজিৎ সিংহ রায়।
ত্রিপুরায় একা লড়াই তিপ্রা মোথার
এদিকে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে আলাদা লড়াই করবে তিপ্রা মোথা। রাজ্যের ২০ টি উপজাতি এবং তফশিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষিত ১০ টি আসনের বাইরেও তারা প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছে তিপ্রা মোথা। ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় বিজেপি জোট সঙ্গী ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট ফপ ত্রিপুরা তিপ্রা মোথার সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে তিপ্রা মোথার কয়েকজন নেতাকে দিল্লিতে আলোচনার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তবে পরে জানিয়ে দেওয়া হয়, সরকার ত্রিপুরাকে ভেঙে কোনও আলাদা রাজ্যের দাবিকে সমর্থন করবে না। তিপ্রা মোথার চেয়ারম্যান বিজয় রাংখল বলেছেন, উপজাতি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছিল এবং আলোচনার আগে এব্যাপারে তাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেই খসড়ায় আলাদা রাজ্যের গঠন সম্পর্কে কিছু ছিল না। তবে সেখানে উপজাতিদের আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাগত উন্নয়নের কথা বলা হয়েছিল। যা ২০১৮-তে আইপিএফটির সঙ্গে বিজেপির জোটের সময়কার প্রতিশ্রুতির মতো। সেই কারণে তারা একমত হননি বলে জানিয়েছেন রাংখল। তিপ্রা মোথার নেতারা এব্যাপারে অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে জানিয়ে দেওয়া হয়, বৃহত্তর তিপ্রাল্যান্ডের দাবি অবাস্তব, এব্যাপারে কোনও আলোচনা করা যাবে না।
Suvendu Adhikari: বগটুই কাণ্ডের সাহায্যে আর্থিক অপরাধ! সরব শুভেন্দু, হুঁশিয়ারি বীরভূম বিজেপির