গো হত্যা মামলায় সন্দেহভাজনের ওপর অকথ্য অত্যাচার, অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মী
গো হত্যা মামলায় সন্দেহভাজনের ওপর অকথ্য অত্যাচার
উত্তরপ্রদেশে গো হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন ব্যক্তির ওপর নির্যাতন করার অভিযোগ উঠল পাঁচজন পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তির মা অভিযোগ করেছেন যে পুলিশ আউটপোস্টের দায়িত্বে থাকা অফিসার ও চারজন কনস্টেবল ও দু'জন অজ্ঞাত ব্যক্তি মিলে তাঁর ছেলের মলদ্বারে লাঠি ঢুকিয়ে দেয় এবং বৈদ্যুতিন শকও দেওয়া হয়।
এসএসপি ওপি সিং এ বিষয়ে দাতাগঞ্জের সার্কেল অফিসার প্রেম কুমার থাপাকে নির্দেশ দিয়েছেন যে গো হত্যায় সন্দেহভাজন ব্যক্তির মেডিক্যাল-আইনত রিপোর্ট বিবেচিত হওয়ার পর এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২ ও ৩২৩ ধারা সহ অন্যান্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসপি (শহর) প্রবীণ সিং চৌহান জানিয়েছেন, 'প্রাথমিক তদন্তে পাঁচ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে বন্দী ও অত্যাচার করার জন্য এফআইআর দায়ের করেছি। তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে। আমরা ওই ব্যক্তির পরিবারকেও সহায়তা করব যাতে সেরা চিকিৎসা পায় ওই ব্যক্তি।'
করোনা আবহে নতুন ভাইরাসের থাবা, কেরলে নোরোভাইরাসের থাবা, আক্রান্ত ২ স্কুলছাত্রী
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি আংশিক সময়ের সবজি বিক্রেতা, বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে এবং বারবার খিঁচুনিতে ভুগছেন। গো হত্যার অভিযোগে একাধিকবার মামলা করা একজন গ্যাংস্টারের সঙ্গে তার সম্পর্ক থাকতে পারে এমন সন্দেহে ২ মে তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এর আগেও বহুবার গো হত্যা সন্দেহে বহু নিরপরাধ ব্যক্তিদের গণপিটুনি অথবা পুলিশের নির্মম অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে। রাজস্থান থেকে উত্তরপ্রদেশ সর্বত্রই এ ধরনের ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশবাসী।
গত মাসেই মধ্যপ্রদেশের সিওনি জেলায় গোহত্যা সন্দেহে দুই আদিবাসীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হামলাকারীদের হাতে আরও একজন আহত হয়। প্রায় ২০ জন মিলে হামলা চালায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। ২০ জনের একটি দল আদিবাসীদের বাড়িতে গিয়ে একটি গরু হত্যার অভিযোগ আনে বলে পুলিশ জানায়। এরপর তারা দুজনকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে দুজনেই মারা যান।