নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে সমর্থন ১১০ জন বুদ্ধিজীবী–শিক্ষাবিদদের, দাবি কেন্দ্রের
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন যে কেন্দ্র সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত নয় তা প্রমাণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে যে প্রায় ১১০০ জন বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদ নাগরিকত্ব আইনকে সমর্থন জানিয়ে এক বিবৃতিতে সই করেছেন তাঁরা। তাঁরা ভুলতে বসা শরণার্থীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য ও ভারতের সভ্যতাবাদ নীতিকে সমর্থন করার জন্য এবং যারা ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে পালিয়ে এসেছে তাদের জন্য একটি আশ্রয়স্থল তৈরি করে দেওয়ায় মোদী সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
কেন্দ্রের সিএএ–কে সমর্থন জানিয়ে এই বিবৃতি তখন প্রকাশ করা হয়, যখন দেশজুড়ে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ প্রদর্শিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৮৮ কোটি টাকার রেলের সম্পত্তি ক্ষতি হয়েছে। কেন্দ্রের তীব্র নিন্দা করে বিরোধিরা জানিয়েছে যে বর্তমানে যে শাসন চলছে, তার অন্তর্গত মানুষ প্রতিবাদের অধিকার হারিয়েছেন।
এনসিপির মুখপাত্র নবাব মালিক শনিবার জানান, সিএএ ও এনআরসি নিয়ে হিংসা বাড়ার কারণই হল বিজেপি শাসনের আওতায় পুলিশ আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ। বিক্ষোভ–প্রতিবাদ চলাকালীন উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফিরোজাবাদ, কানপুর, বিজনোর, সম্ভাল এবং মিরুটে ২ জন করে মানুষ নিহত হয়েছে। প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটি হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ এবং পার্সী সম্প্রদায়ের শরণার্থী, যাঁরা পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের মুখোমুখি হয়ে পালিয়ে এসেছিল এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ সাল বা তার আগে ভারতে প্রবেশ করেছিল সেইসব শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। শনিবার বিজেপি বিরোধীদের নিন্দা করে জানায় যে সিএএ কখনই মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য করবে না।