রাজ্যের নাম চাই ‘বাংলা’, মমতার চিঠির পরই প্রধানমন্ত্রী মোদী সকাশে তৃণমূল সাংসদরা
রাজ্যের নাম ‘বাংলা’ করার দাবি নিয়ে এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দরবারে দেখা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় প্রতিনিধিরা।
রাজ্যের নাম 'বাংলা' করার দাবি নিয়ে এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দরবারে দেখা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দলের প্রতিনিধিরা। গত মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মূল দাবি ছিল রাজ্যের নাম বাংলা করার। সেই একই দাবি নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী সমীপে হাজির সুদীপ-ডেরেক-অভিষেকরা।
মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ তৃণমূল প্রতিনিধিদের
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। সেইমতো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সময় দেন। তৃণমূল প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নরেন্দ্র মোদী। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও'ব্রায়েন, সৌগত রায়, সুখেন্দুশেখর রায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র-সহ তৃণমূল সাংসদরা মোদীর কাছে বাংলা নাম নিয়ে সওয়াল করেন।
পশ্চিমবঙ্গের নাম বাংলা করার দাবি
পশ্চিমবঙ্গের নাম বাংলা করার দাবি নিয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল সাংসদরা। তাঁরা যুক্তি খাঁড়া করেন বাংলা নাম নিয়ে। তাঁরা অভিযোগ করেন, রাজ্যের নাম পরিবর্তন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার গড়মসি করছে। জুলাই মাসের শুরুতে সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানায়, রাজ্যের নাম বদলে 'বাংলা' করা যাবে না।
বাংলা করা নিয়ে তিন দফা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন করে বাংলা করা নিয়ে তিন দফা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শেষে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠিও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তৃণমূলের সংসদীয় টিম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্দিষ্ট দাবি তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল সংসদ সদস্যদের কথা শুনে খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দেন।
তিনটি ভাষাতেই একই নাম 'বাংলা'
উল্লেখ্য, ২০১৬-র অক্টোবর রাজ্যের নাম বদল করার প্রস্তাব গৃহীত হয় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। রাজ্যের 'পশ্চিমবঙ্গ' নাম বদলে নতুন নামের প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রথমে বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় তিনটি পৃথক নাম বাছা হয় যথাক্রমে বাংলা, বেঙ্গল ও বঙ্গাল। কিন্তু রাজ্যের সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয় কেন্দ্র। পরে তিনটি ভাষাতেই একই নাম 'বাংলা' রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।