'গণতন্ত্রকে সাসপেন্ড করছেন মোদী-শাহ', রাজ্যসভার ১৯ সাংসদের সাসপেন্ড নিয়ে তীব্র নিশানা ডেরেকের
'গণতন্ত্রকে সাসপেন্ড করছেন মোদী-শাহ', রাজ্যসভার ১৯ সাংসদের সাসপেন্ড নিয়ে তীব্র নিশানা ডেরেকের
রাজ্যসভায় ১৯ জন সাংসদকে সাসপেন্ড। তারমধ্যে ৭ জন টিএমসি সাংসদ। ফের রাগে ফুঁসে উঠলেন ডেরেক ওব্রায়েন। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং অমিত শাহকে তীব্র নিশানা করে বলেছেন, তারা গণতন্ত্রকে সাসপেন্ড করছেন। এর আগেও সংসদে একাধিকবার টিএমসি সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার ৭ টিএমসি সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে রাজ্যসভায়।
সাসপেন্ড ১৯ সাংসদ
অধিবেশন শুরুর পর থেকেই উত্তাল রাজ্যসভা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দখাতে থাকেন। কংগ্রেস সাংসদদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিেলন টিএমসি সাংসদরাও। বিক্ষোভ চরমে উঠতে শুরু করে দুপুরের পর থেকে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বারবার সাংসদদের শান্তি হয়ে নিজের জায়গায় ফিরে যাওয়ার আবেদন করতে থাকেন। কিন্তু সাংসদরা তাতে কর্নপাত না করে বিক্ষোভ দেখিয়ে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারী ১৯ জন সাংসদকে সাত দিেনর জন্য সাসপেন্ড করেন চেয়ারম্যান। এবং অধিবেশন মুলতুবি করে দেন।
৭ টিএমসি সাংসদ সাসপেন্ড
১৯ সাংসদের মধ্যে রাজ্যসভার সাত জন টিএমসি সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছেন শান্তনু সেন, দোলা সেন, সুস্মিতা দেব, শান্তা ছেত্রী,অভিরঞ্জন বিশ্বাস, নাদিমুল হক এবং মৌসম নুর। এছাড়া ডিএমকের ৬ সাংসদ। টিআরএসের ৩ সাংসদ, সিপিএমের ২ সাংসদ এবং সিপিআইয়ের দুই সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের। এর আগেও বিরোধীদের বিক্ষোভ সামল দিতে সাসপেন্ড পন্থা িনয়েছে বিজেপি।
লোকসভায় সাসপেন্ড ৪ সাংসদ
গতকাল জিএসটি ইস্যুতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল লোকসভা। বিরোধীরা ওয়েলে েনমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। শেষে কংগ্রেসের চার সাংসদকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার ওম বিড়লা। তারপরেই অধিবেশন মুলতুবি করে দেন তিনি। ঠিক তার পরের দিনই একই ভাবে রাজ্যসভায় ১৯ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। এর আগে শীতকালীন অধিবেশনে একসঙ্গে ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল রাজ্যসভায়। তার প্রতিবাদে বাজেট অধিবেশনে তীব্র বিক্ষোভ দেখায় বিরোধীরা।
মোদী-শাহকে িনশানা ডেরেকের
রাজ্যসভায় ১৯ জন সাংসদকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিশানা করেছেন ডেরেক ওব্রায়েন। টিএমসি সাংসদ কটাক্ষ করে বলেছেন সাংসদদের নয় মোদী-শাহরা দেশের গণতন্ত্রকে সাসপেন্ড করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বাদল অধিবেশন শুরুর আগেই অসংসদীয় শব্দের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বিরোধীদের ব্যবহার করা অধিকাংশ শব্দকেই অসংসদীয় বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিরোধীরা। মূলত বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করতেই এইগুিল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা।
আশিস মিশ্রের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, 'ঘৃণ্য অপরাধ'