তৃণমূলে ভাঙন-জল্পনা অব্যাহত ত্রিপুরায়, রাজ্য সভাপতির পর পদত্যাগ সহ সভাপতিরও
তৃণমূলে ভাঙন-জল্পনা অব্যাহত ত্রিপুরায়, রাজ্য সভাপতির পর পদত্যাগ সহ সভাপতিরও
তৃণমূলে ভাঙন জল্পনা অব্যাহত। রাজ্য সভাপতির অপসারণের পর এবার সহ সভাপতি পদত্যাগ পত্র পাঠালেন ত্রিপুরা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেই দল ছাড়ার কথা জানিয়েছেন। এর ফলে এক মাসের মধ্যে দলের সভাপতি, সহ-সভাপতি ও রাজ্য সম্পাদক অস্তাচলে গেলেন তৃণমূলে।
সভাপতি অপসারণের পর সহ সভাপতির পদত্যাগ!
বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন ত্রিপুরায়। এবার নির্বাচনে বিজেপিকে উৎখাত করার ডাক দিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে পা রেখেছিল তৃণমূল। কিন্তু যত ভোট এগিয়ে আসছে, ততই শক্তিক্ষয় হয়ে চলেছে তৃণমূলের। তৃণমূল কংগ্রেস ক্রমেই অস্তিত্ব হারাতে চলেছে। মাত্র তিনদিন আগেই খোদ রাজ্য সভাপতিকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সহ সভাপতি আবদুল বাসিত খান পদত্যাগপত্র পাঠালেন।
একের পর এক নেতার পদত্যাগে ঘোর সঙ্কটে তৃণমূল
পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো পদত্যাগ পত্রে আবদুল হাসিম খান দাবি করেছেন, এই মুহূর্তে রাজ্য তৃণমূলে নেতৃত্বের অভাব। তাই এই তৃণমূলে থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব নয়। তাঁর এই কথায় দলবদলের সম্ভাবনা প্রবল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মাত্র চার মাস আগে গড়া হয়েছিল রাজ্য কমিটি। তারপর একের পর এক নেতার পদত্যাগে ঘোর সঙ্কটে তৃণমূল কংগ্রেস।
কংগ্রেসকে ভাঙছে তৃণমূল, বিজেপিকে ভাঙতে ব্যর্থ
সম্প্রতি রাজ্য সভাপতি পদ থেকে ত্রিপুরায় রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিক অপসৃত হয়েছেন। তার আগে রাজ্য সম্পাদক বাপ্টু চক্রবর্তী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূল যে আশা নিয়ে ত্রিপুরায় পা রেখেছিল, সেই আশা বৃথাই থেকে গিয়েছে। বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়ে কাউকেই কার্যত ভেঙে নিজেদের দিকে আনতে পারেনি তৃণমূল। উল্টে কংগ্রেসকে ভেঙে বিজেপিকে আরও শক্তিশালী করে দিয়েছে।
তৃণমূল ব্যর্ত মনোরথ হয়ে ফিরবে ত্রিপুরা থেকে!
কংগ্রেস ছেড়ে সুবল ভৌমিক-রা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর তাঁকে রাজ্য সভাপতি করা হয়। সেই তিনি এখন বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তার আগে বিজেপি ছেড়ে বড় নেতাদের মধ্যে একজনকেই তৃণমূলে আসতে দেখা গিয়েছিল, সেই আশিস দাস উপনির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে দিয়েছেন।
তৃণমূলের আশরা প্রদীপ নিভে যাচ্ছে ক্রমশ
তৃণমূল আশা করেছিল, বিজেপিতে বেসুরো সুদীপ রায় বর্মন-রা ভিড়বেন তৃণমূলেই। কিন্তু সুদীপ রায় বর্মন ও আশিস সাহা-রা বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে গিয়েছেন। কংগ্রেস ফের শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি তৃণমূলের সহ সভাপতি আবদুল বাসিত খানের বিবৃতিতে স্পষ্ট তিনি তৃণমূল ছেড়ে ফের কংগ্রেসে ফিরে যেতে পারেন।
তৃণমূলে বিপর্যয় নেমে আসছে ত্রিপুরায়
একুশের নির্বাচনে বাংলায় বিজেপিকে পর্যুদস্ত করার পর ত্রিপুরায় পা রেখেছিল তৃণমূল। তারপর ধীরে ধীরে রাজ্য ইউনিট গড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু চার মাসের মধ্যেই যে এমন বিপর্যয় নেমে আসবে কল্পনা করেনি তৃণমূল। তৃণমূল এখন সবার আগে নতুন রাজ্য সভাপতি নিয়োগ করতে চাইছে।
তৃণমূল ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে, মানতে নারাজ
উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় পুরসভা নির্বাচনে ভালো ফল করার পর তৃণমূল মুখ থুবড়ে পড়েছিল চার কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচনে। তারপর থেকেই পিছু হটা শুরু হয়েছে। যদিও তৃণমূল তা মানতে নারাজ। তৃণমূলের দাবি, ২০২৩-এর নির্বাচনে তাঁরাই হবেন বিজেপির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরানোই তাঁদের একমাত্র উদ্দেশ্য।
দিলীপের সঙ্গে সুকান্তর তুলনা! চোর-কটাক্ষের পাল্টা বেঁফাস মন্তব্যে ফের শিরোনামে সৌগত