কংগ্রেস-আরজেডি বিচ্ছেদ? লালুর মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে
গতকাল রাতে দিল্লি থেকে ফিরেছেন লালুপ্রসাদ। আসন্ন লোকসভা ভোটে জোট নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দফায় দফায় কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনা করলেও কোনও রফা হয়নি। বিরক্ত লালু তাই এদিন বলেছেন, "কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়তে আর দিল্লি যাওয়ার সময় নেই। আমি এখন ভোটের প্রচারে সময় দেব। মনোযোগটা থাকবে ওই দিকেই।"
তবে কি কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ আপনার? লালুপ্রসাদের জবাব, "আমরা এখন থেকে টেলিফোনে কথা বলব।" অর্থাৎ হ্যাঁ-না কিছুই বলেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, এবারের লোকসভা ভোটেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়বেন বলে ঠিক করেছিলেন লালু। পাশাপাশি, কথা চলছিল রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টির (এলজেপি) সঙ্গেও। কিন্তু শেষ মুহূর্তে রামবিলাস পাসোয়ান এনডিএ-তে যোগ দেওয়ায় বেকায়দায় পড়ে যান তিনি। মরিয়া লালু তাই বলেছেন, "দেশকে সাম্প্রদায়িক শক্তির হাত থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব আমার একার নয়। অন্যান্য দলেরও দায়িত্ব রয়েছে। এটা বুঝতে হবে।"
বিহারে ৪০টি লোকসভা আসন রয়েছে। ২৫টি আরজেডি এবং ১৫টিতে কংগ্রেসের লড়ার কথা। গোল বেধেছে মধুবনী এবং পূর্ব চম্পারন আসন দু'টি নিয়ে। কেউই ছাড়তে চাইছে না এই দু'টি আসন। মধুবনী থেকে কংগ্রেস দাঁড় করাতে চায় শাকিল আহমেদকে। কিন্তু, লালু চাইছেন এই আসন নিজেদের কাছে রাখতে। এখন বরফ কবে গলে বা আদৌ গলে কি না, সেটা দেখতে হবে।