সেদিনের 'ধৃতরাষ্ট্র'-ই আজ আদর্শ 'শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী', কেজরিওয়ালের ইউটার্নের কারণ কি
নাম না করে মোদীকে একহাত নিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বৃহস্পতিবার মনমোহন সিং-এর মতো 'শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী'-র অভাব বোধ করছেন বলে টুইটারে মন্তব্য করেন আপ সুপ্রিমো।
নাম না করে মোদীকে একহাত নিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মনমোহন সিং-এর ইউপিএ সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়েই তাঁর রাজনৈতিক উত্থান। যাকে একদিন বলেছিলেন 'ধৃতরাষ্ট্র', বৃহস্পতিবার সেই মনমোহন সিং-এর মতো 'শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী'-র অভাবই বোধ করছেন বলে টুইটারে মন্তব্য করেন আপ সুপ্রিমো।
বুধবারে তাঁর করা টুইটে কোথাও ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মোদীর নাম করেননি কেজরিওয়াল। বরং প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং-কে। কিন্তু, তার এই টুইটের নিশানা যে নরেন্দ্র মোদীই, তা বুঝতে কারোর অসুবিধে হয়নি। এদিন তিনি টুইট করেন, 'মানুষ এখন ডঃ মনমোহন সিং-এর মতো শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রীর অভাব বোধ করছে। জনগণের এখন আস্তে আস্তে বুঝতে পারছে - প্রধানমন্ত্রী তো পড়া লিখা হি হোনা চাহিয়ে (প্রধানমন্ত্রী তো লেখাপড়া জানাই হওয়া উচিত)।'
People missing an educated PM like Dr Manmohan Singh
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) May 31, 2018
Its dawning on people now -“PM तो पढ़ा लिखा ही होना चाहिए।” https://t.co/BQTVtMbTO2
এখানেই থামেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। টুইটের সঙ্গে একটি নিবন্ধও জুড়ে দিয়েছেন। নিবন্ধের বিষয় আগামী দিনে ভারতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তাকার দাম পড়ে যাওয়ার কি প্রভাব পড়তে চলেছে। এভাবেই ঠারে ঠারে এদিন মোদীকে বিদ্ধ করেন আপ সুপ্রিমো। এর আগে ২০১৬ সালেই তিনি অভিযোগ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদীর পেশ করা ডিগ্রি সার্টিফিকেটগুলি ভূয়ো।
ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং যতটা না রাজনীতির লোক, তারচেয়ে বেশি শিক্ষাজগতের মানুষ হিসেবে তাঁর বিশ্বজোড়া খ্যাতি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিফিল করার পর তিনি দীর্ঘদিন দিল্লি স্কুল অব ইকোনমিক্স-এ শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সময়কালে তিনি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্ণরের দায়িত্বও সামলেছেন।
দুর্নীতি নিয়ে কংগ্রেস তথা ইউপিএ-২ সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেও ডঃ মনমোহন সিং সম্পর্কে কিন্তু বরাবরই শ্রদ্ধাশীল কেজরিওয়াল। যদিও অতীতে মনমোহন দুর্নীতি বিষয়ে সব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না, বরং তাকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন অভিযোগ করে তাঁকে 'ধৃতরাষ্ট্র' বলেছিলেন আপ প্রধান। ২০১৩-র অক্টোবরে কেজরিওয়াল বলেছিলেন, 'দুর্নীতিগ্রস্ত কংগ্রেস নিজেদের ঢাকতে কেন্দ্রে মনমোহন সিং-কে মুখ হিসেবে বসিয়ে রেখেছে। মনমোহন কংগ্রেস দলে ও তাঁর সরকারের ভেতরে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন।'
এদিন সেসবের ধারকাছ দিয়েও জাননি কেজরিওয়াল। আগেকার কোনও তিক্ততার লেশমাত্র ছিল না। প্রসঙ্গতেই ঢোকেননি। বরং ঝি কে মেরে বৌ কে শেখানোর মতো মনমোহনের প্রশংসায় মোদীকে বিদ্ধ করতে চেয়েছেন। সেইসঙ্গে আগামী লোকসভায় বিজেপিকে আটকাতে সবাইকে পাশে চাই না। তাই 'ধৃতরাষ্ট্র' বলার দিন এখন অতীত, মনমোহনই কেজরিওয়ালের কাছে আদর্শ প্রধানমন্ত্রী।
आज के नतीजे दिखाते हैं की देश भर में मोदी सरकार के ख़िलाफ़ लोगों में बहुत ज़्यादा ग़ुस्सा है।
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) May 31, 2018
अभी तक लोग पूछते थे - विकल्प क्या है? अब लोग कह रहे हैं कि मोदी जी विकल्प नहीं हैं, पहले इन्हें हटाओ।