আচমকা দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসছিল গাড়ি! ফুটপাতে লাফ মেরে কোনওক্রমে রক্ষা পেলেন মুখ্যমন্ত্রী
খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের ছক! গাড়ি চাপা দিয়ে মারার চেষ্টা বিপ্লব দেবকে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা। ঘটনাতে ইতিমধ্যে ব্যাপক ধড়পাকড় শুরু করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে ই
খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের ছক! গাড়ি চাপা দিয়ে মারার চেষ্টা বিপ্লব দেবকে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা। ঘটনাতে ইতিমধ্যে ব্যাপক ধড়পাকড় শুরু করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল সে রাজ্যে।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন সে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব। বিপ্লব দেবকে মারার ছক ছিল? সেই সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দিতে পারছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এই ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের নিরাপত্তার আরও আঁটসাঁট করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ত্রিপুরাতে নতুন করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এমনকি করোনার নয়া স্ট্রেন ডেল্টা ভাইরাসেরও সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এই অবস্থায় কড়া ভাবে নাইট কার্ফুর ঘোষণা করা হিয়েছে ত্রিপুরাতে। জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যের কার্ফু পরিস্থিতি সরজিমনে খতিয়ে দেখতে বের হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। গাড়ি ছেড়ে পায়ে হেঁটে পরিস্থিতি দেখতে বের হন তিনি।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী একা নয়, বিপ্লব দেবের সঙ্গে ছিলেন তাড় দেহরক্ষী সহ একাধিক পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। আর সেই সময় হঠাত করেই আইজিএম চৌমুহনী এলাকায় রহস্যময় এক গাড়ি ভয়ঙ্কর গতিতে এগিয়ে আসতে থাকে বিপ্লব দেবের দিকে। প্রথমে ব্যাপারটি বোঝা না গেলেও স্পষ্ট হতেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা আধিকারিকরা চিৎকার করতে থাকেন।
আর দ্রুত বিপ্লব দেবকে সরে যাওয়ার জন্যে বলতে থাকেন। কোনও রকমে লাফিয়ে রাস্তার ফুটপাতে উঠে যান বিপ্লব। তাঁর গা ঘেঁষে বেরিয়ে যায় গাড়িটি। একেবারে কপাল জোরে রক্ষা পেয়ে যান সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আর এই ঘটনা সামনে আসার পরেই কার্যত নড়েচড়ে বসে পুলিশ আধিকারিকরা। খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গলদ?? রাতেই গাড়িটির খোঁজ শুরু হয়।
জানা যায়, রাতের মধ্যে গাড়িটিকে আটক করে ত্রিওউরা পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত তিনজনকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে বিষয়টি মোটেই হালকা ভাবে দেখতে রাজি নন রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব! তাঁদের দাবি, কীভাবে জানা গেল মুখ্যমন্ত্রী রাতের নাইট কার্ফু দেখতে বের হবেন? আর সেই সময়তেই কেন এই ঘটনা কেন? এর পিছনে বৃহৎ ষড়যন্ত্র আছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে এই ঘটনার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের ছক করা হয়েছিল বলে তৃণমূলের তরফে চিঠি দেওয়া হয় ত্রিপুরা পুলিশের ডিজিকে। আর এরপর পর এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।