
ফুচকা যাঁরা ভালবাসেন, তাঁরা সাবধান! এই গুরুতর অসুখের কারণ হতে পারে
ফুচকা অনেকেই ভালবাসেন। বাচ্চা থেকে বুড়ো, উচ্চবিত্ত থেকে ঝুপড়িতে থাকা, অনেকেই। বাংলার বাইরে ফুচকা আবার পানি পুরি নামে বেশি পরিচিত। এই ফুচকাই হয়ে উঠছে কঠিন রোগের কারণ। তেলেঙ্গানার শীর্ষ স্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি তেমনটাই। রাজ্য জুড়ে টাইফয়েড বেড়ে যাওয়ার কারণে সেই স্বাস্থ্যকর্তা ফুচকা-প্রীতিকেই দায়ী করেছেন।

পানিপুরি থেকে টাইফয়েড
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তেলেঙ্গানার জনস্বাস্থ্য আধিকারিক শ্রীনিবাস রাও বলেছেন, টাইফয়েডকে পানিপুরি রোগ বলা যেতে পারে। টাইফয়েড এবং অন্য মরসুমী রোগ থেকে রক্ষা করতে বর্ষাকালে এটি এবং অন্য রাস্তারখাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন ওই স্বাস্থ্য কর্তা। তিনি বলেছেন, এবছরে টাইফয়েডের বেশি ঘটনা ঘটছে। মে মাসে যেখানে ২৭০০ টি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছিল, সেখানে জুনে তা বেড়ে হয়েছে ২৭৫২ টি।

স্বাস্থ্যে নজর দিতে আহ্বান
এই স্বাস্থ্য কর্তা বলেছেন রাস্তার পাশের দোকানে পানি পুরি খেয়ে স্বাস্থ্যের ব্যাঘাত ঘটাবেন না। যে কেউ ১০-১৫ টাকার পানিপুরি খেতেই পারেন, কিন্তু পরের দিনই তাঁকে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ করতে হতে পারে।
তিনি আরও বলেছেন, বিক্রেতাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি তিনি বলেছেন নিরাপদ পানীয় জলের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

বাড়ছে মরসুমী রোগ
ম্যালেরিয়া, ডায়ারিয়া, ভাইরাল জ্ব এই বর্ষার প্রধান রোগ। মূলত জল এবং দূষিত খাবার থেকেই রোগের সৃষ্টি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শুধু তেলেঙ্গানাতেই নয়, বিভিন্ন রাজ্যে বাড়ছে এইসব রোগ। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকরা সাধারণ মানুষের কাছে আবেদনরেখেছেন যাতে তারা তাজা খাবার খান এবং পানীয় জল ফুটিয়ে খান।
তেলেঙ্গানার জনস্বাস্থ্য আধিকারিক শ্রীনিবাস রাও বলেছেন, জানুয়ারি থেকে রাজ্যে ১১৮৪ টি ডেঙ্গু আক্রান্তের ঘটনার মধ্যে হায়দরাবাদে ৫১৬ টি ঘটনা ঘটেছে। তেলেঙ্গানার প্রায় সব জেলাতেই ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। যেখানে জুনে ৫৬৩ টিআক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে এই মাসের প্রথম দশ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২২২ টি। এছাড়াও রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের খবরও পাওয়া গিয়েছে।

কোভিড মরসুমী রোগে পরিণত
তেলেঙ্গানার জনস্বাস্থ্য আধিকারিক শ্রীনিবাস রাও বলেছেন, কোভিড মরসুমী রোগে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেছেন, যদি কারও কোভিডের মতো উপসর্গ থাকে তাহলে তাঁর উচিত ৫ দিনের জন্য নিজেকে সম্পূর্ণরূপে আলাদা রাখা। যদি কোনও ব্যক্তির কোনও লক্ষণ না থাকেতাহলে তার কোভিড পরীক্ষার কোনও প্রয়োজন নেই। তিনি বলেছেন, যে সব কোভিড রোগীর শ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে, তাদেরকেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে তেলেঙ্গানা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন রাদ্যে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়লেও,তাতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বাংলার করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক! ৯ জেলায় পজিটিভিটি রেট ১০-এর ওপরে, চিহ্নিত ১১ টি রেড জোন