পর পর ৬ বার পরিচ্ছন্নতার পুরস্কার পেয়েছে ভারতের এই শহর
পর পর ৬ বার পরিচ্ছন্নতার পুরস্কার পেয়েছে ভারতের এই শহর
পর পর ৬ বার দেশে পরিচ্ছন্ন শহরের পুরস্কার পেল ইন্দোর। পরিচ্ছন্নতায় সেরার শিরোপা পেয়েছে ইন্দোর। শহরের ১৯০০ বর্জ্য প্রতিদিন রিসাইকেল করে কয়েক কোট টাকা উপার্জন করে এই শহর। এর আগেও পরিচ্ছন্নতায় দেশের সেরার শিরোপা পেয়েছে ইন্ডোর। গত শনিবার পরিচ্ছন্নতার পুরস্কার ঘোষণা করে মোদী সরকার। তাতে ইন্দোরকে ফের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ইন্দোরের পরেই তালিকায় রয়েছে সুরাত এবং নবি মুম্বই।
৩৫ লক্ষ মানুষের বাস ইন্দোর শহরে। মধ্যপ্রদেশের অন্যতম বড় শহর ইন্দোর। মধ্যপ্রদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী এই ইন্দোর। সেই হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ইন্দোর। গোটা শহরে কোথাও ভ্যাট দেখা যাবে না। যাকে বলে একেবারে বর্জ্য মুক্ত শহরে পরিণত হয়েছে ইন্দোর। প্রতিদিন ১২০০ টন শুকনো বর্জ্য এবং ৭০০ টন তরল বর্জ্য সংগ্রহ করে থাকে এই শহর। গোটা শহরের অলিতে গলিতে ঘুরে ৮৫০টি গাড়ি বর্জ্য সংগ্রহ করে। ৬টি ভাগে ভাগ করে আবর্জনা সংগ্রহ করে থাকে এই শহরের পুরসভা।
পুরসভার গাড়ি গুলি একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে সেগুলি সংগ্রহ করা হয়।সেখানে একাধিক বর্জ্য সংগ্রহ করে সেগুলি আলাদা আলাদা করা হয়। শহরের একটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সেগুলি প্রসেশিং করা হয়। তারপরে সেগুলি প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। এই ভাবেই শহরের সব বর্জ্য সংগ্রহ করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সেই ট্টিটমেন্ট প্ল্যান্টে। এইবর্জ্য থেকে বায়ো গ্যাস তৈরি করা হয়। আর সেই বায়ো গ্যাস দিয়ে শহরের প্রায় ১৫০টি বাস চলাচল করে। ইন্দোরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ৮৫০০ জন সাফাইকর্মী কাজ করে থাকেন।
অমিত-সকাশে কংগ্রেসের বিধায়করা, রাজস্থান-সংকটে পাইলটের দিকে তির গেহলটের
ইন্দোরের নিকাশি ব্যবস্থাও অত্যন্ত পরিকল্পিত। পরিকল্পিত ভাবে তৈরি করা হয়েছে নিকাশি ব্যবস্থা। সেকারণে অন্য বড় শহরের মত ইন্দোরে জল নিকাশি ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা যায় না। পুরসভার পক্ষ থেকে শহরের একাধিক জায়গায় পার্ক এবং সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে।