হানিপ্রীতের পর এবার বেপাত্তা বিপাসনাও, ডেরার দায়িত্ব পাচ্ছেন রাম রহিমের ছেলেই
ডেরা সাচা সওদার তৃতীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তিরও কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, গুরমিত রাম রহিম ও হানিপ্রীতের পরই ডেরার সবথেকে প্রভাবশালী ছিলেন বিপাসনা
গুরমিত রাম রহিম জেলে, বেপাত্তা হানিপ্রীতও। এবার ডেরা সাচা সওদার তৃতীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তিরও কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। গুরমিত রাম রহিম ও হানিপ্রীতের পরই ডেরার সবথেকে প্রভাবশালী ছিলেন বিপাসনা। ফলে তাঁর হাতেই ডেরার দায়িত্ব তুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছিল। কিন্তু এবার বিপাসনারও খোঁজ না মেলায় ছেলে জসমীতকেই ডেরার কেয়ার টেকার করায় সম্মতি দিয়েছে ধর্ষক বাবা।
[আরও পড়ুন: রোজ রাতে ডেরায় মেয়ে পাঠাতে মহিলাদেরই বিশেষ দল তৈরি করেছিল ধর্ষক রাম রহিম]
ডেরা সূত্রে জানা গিয়েছে, সিরসার হেডকোয়ার্টারে গত শুক্রবার শেষবার দেখা গিয়েছিল বিপাসনাকে। এরপরই বিপাসনা রাজস্থানের গুরসার গঙ্গানগরে চলে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গঙ্গানগরে গুরমিত রাম রহিমের ছেড়ে জসমীতকেই হাতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ তুলে দিতেই তিনি ডেরা ছেড়েছেন বলে অনুমান। সেইসঙ্গে গ্রেফতারির ভয়েও তিনি গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। মূলত ডেরায় ফিরে না এসে মোবাইল বন্ধ করে রাখার ফলেই তাঁর আন্ডারগ্রাউন্ড হওয়া নিয়ে জল্পনা চলছে।
এরআগে হানিপ্রীত ও ডেরার আরও এক শীর্ষ কর্তা আদিত্য ইনসানও পালিয়ে যায়। তারা কোথায় রয়েছেন, তা বিপাসনা জানেন বলেই মনে করা হচ্ছে। সেকারণেই বিপাসনার গ্রেফতারিরও যথেষ্ঠ সম্ভাবনা ছিল। আর তা আঁচ করতেই তিনিও বেপাত্তা হয়েছেন বলেই অনুমান করছে পুলিশ।
ডেরা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, হানিপ্রীত ও বিপাসনা না থাকায় রাম রহিমের ছেলে জসমীতকেই ডেরার দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিন কয়েক আগেই রাম রহিমের সঙ্গে রোহতক জেলে দেখা করতে যান তার মা নসিব কওর। তিনিও এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সেইসঙ্গে আপাতত ডেরার সেকেন্ড ইন কমান্ড করা হচ্ছে আইনজীবী ও রাম রহিমের আত্মীয় গুরদাস সিং সালওয়ারাকে। এই গুরদাস সিং হরিয়ানা সরকারের ডেপুটি অ্যাডভোকেট জেনারেল ছিলেন। কিন্তু রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার পর তার ব্যাগ বইবার জন্য বরখাস্ত করা হয় সালওয়ারাকে।