বিজেপিতে ভাঙন খুঁজছে বিরোধীরাও, নজরে এই ৬ বিদ্রোহী সাংসদ
আস্থা ভোটের আগে এই ৬ বিদ্রোহী বিজেপি সাংসদ বিরোধীদের নজরে রয়েছেন।
শুক্রবার আস্থা ভোটে বিরোধী ঐক্যের ফাঁকফোঁকড় প্রকাশ করাই বিজেপির অন্যতম লক্ষ্য। সংখ্যার বিচারে সরকার ধরে রাখার বিষয়ে বিজেপি একপ্রকার নিশ্চিত। কিন্তু তাদের শিবিরেও সমস্যা কম নেই। শিবসেনার মতো বিক্ষুব্ধ শরিকরা আছে। আবার নিদের দলেও বেশ কয়েকজন সাংসদ আছেন যাঁরা বিভিন্ন কারণে দলের উপর ক্ষুব্ধ।
এঁদের মধ্যে অন্তত ছয়জনের ভোট অনাস্থার দিকে টানতে চেষ্টা করছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা মনীশ তিওয়ারি বলেছেন, শত্রুঘ্ন সিনহা বা কীর্তি আজাদের মতো বিজেপি সাংসদরা কোনদিকে ভোট দেন তা যথেষ্ট আগ্রহের বিষয়। এটাই লোকসভার আগে সংসদের শেষ অধিবেশন এই সময়ে তাঁদের অবস্থানটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ'।
কীর্তি আজাদ
এই প্রাক্তন ক্রিকেটার সাংসদকে ২০১৫ সালের সংসদের শীত অধিবেশনের পরই সাসপেন্ড করে বিজেপি। দিল্লি ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান পদে বিজেপি নেতা তথা অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি থাকাকালীন আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কীর্তি। পরে তাঁর স্ত্রী কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। দ্বারভাঙার এই সাংসদ বিজেপি সরকারের পক্ষে ভোট দেবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।
শত্রুঘ্ন সিনহা
মাঝে-মধ্যেই দলের বিরুদ্ধে বিশেষ করে মোদী-শাহ'এর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা যায় শত্রুঘ্নকে। মোদী সরকারের খোলাখুলি সমালোচনা করেন তিনি। সেইসঙ্গে আবার আরজেডির তেজস্বী যাদবের প্রশংসাও শোনা যার তাঁর মুখে। কিন্তু বুহারি বাবু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি এখনও যখন বিজেপিতেই আছেন তখন দলের হুইপ মেনে অনাস্থার বিরুদ্ধেই ভোট দেবেন।
সাবিত্রী বাই ফুলে
উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচের এই সাংসদের প্রথম পরিচয় তিনি দলিত নেত্রী। প্রথমে মায়াবীর বিএসপির সঙ্গে ছিলেন পরে বিজেপিতে আসেন। কিন্তু বিজেপি সরকার দলিতদের বঞ্চনা করছে এই অভিযোগে তিনি লক্ষ্ণৌতে সরকার বিরোধী মিছিলও করেছেন। তারপর থেকে কখনও মোদী করকারের দলিত নীতির সমালোচনা করে কখনও মহম্মদ আলি জিন্নাকে মহাপুরুষ বলে দলের রোষে পড়েছেন তিনি। তিনি অনাস্থার দিকেই বোট দেবেন বলে মনে করছে খোদ বিজেপিই।
অশোক ডোহরে
উত্তরপ্রদেশের আরেক ক্ষুব্ধ দলিত নেতা। অশোক ডোহরে এটাওয়ার সাংসদ। তাঁর দাবি উত্তরপ্রদেশ সরকার দলিতদের উপর অত্যাচার চালায়। তিনি এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন। তারপর তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা চালিয়েছেন অনেক বিজেপি নেতাই। তাতে কতটা কাজ হয়েছে সেটাই দেখার।
ছোটে লাল খাড়ওয়ার
ইনি রবার্টসগঞ্জের বিজেপি সাংসদ। ইনিও দলিত এবং এঁরও অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের সরকার দলিতদের উপর নিপিড়ন চালায়। তার শিকার তিনি নিজেই। তাঁর বাড়িটিকে মিথ্যে করে জঙ্গল এলাকায় অবস্থিত বলে কব্জা করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তাঁর অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী যোদী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়া হয়।
রাজকুমার সাইনি
হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের সাংসদ তিনি। সাম্প্রতিক কালে তাঁকে বারবার বিজেপির সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে। এই সরকারের আমলে দেশের গনতন্ত্র বিপন্ন এই অভিযোগ করে তিনি হরিয়ানায় 'লোকতন্ত্র বাঁচাও' মিছিলও সংগঠিত করেছেন। দিন দশেক আগে তিনি বলেন এই সরকারের নীতি সঠিক নয়। এখনকার বিজেপি সাংসদদের ৯০ শতাংশই সামনের নির্বাচনে হেরে যাবেন।