দেশের সংশোধনাগারে আর জায়গা নেই, প্রত্যেক বছরই বাড়ছে বন্দির সংখ্যা
দেশের সংশোধনাগারে নেই জায়গা, প্রত্যেক বছরই বাড়ছে বন্দীর সংখ্যা
২০১৮ সালে মহারাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কারাগারগুলিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বন্দিদের হার ছিল। প্রকৃতপক্ষে সংশোধনাগারগুলিতে যে পরিমাণ বন্দি থাকার কথা তার চেয়ে অনেক বেশি বন্দি রয়েছে সেখানে।
বন্দী অধিগ্রহণে এগিয়ে মহারাষ্ট্র–ছত্তিশগড়
মহারাষ্ট্রের আগে প্রথম স্থানে রয়েছে ছত্তিশগড়। ভারতের সংশোধনাগার পরিসংখ্যানের তথ্য বৃহস্পতিবারই প্রকাশ করে এনসিআরবি। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারগুলিতে মোট বন্দির সংখ্যা থাকার কথা ছিল ১৪,৮৪১ জন। কিন্তু সেখানে রয়েছে ২৫,৩৩৩জন। যা ১৭০ শতাংশ বেশি। ছত্তিশগড়ের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগুলিতে ৬,৭০৭ জন বন্দির বদলে রয়েছে ১৩,১৫১ জন বন্দি। যা দখলের ১৯৬ শতাংশ বেশি। মহারাষ্ট্রের সংশোধনাগার বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে যে দখলের হার আসলে ১৭৯ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ১৪,৪৯১ জন বন্দির বদলে ২৫,৯৪৬ জন বন্দি ছিল।
দেশে সংশোধনাগারের সংখ্যা ১৪৪টি
ভারতে ১৪৪টি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার রয়েছে, যেখানে বড় সংখ্যার বন্দিদের অত্যন্ত জোরদার নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়। মহারাষ্ট্রেই রয়েছে ন'টি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। এই ন'টি সংশোধনাগারের মধ্যে পুনের ইয়েরাওয়াড়া কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার, মুম্বইয়ের আর্থুর রোড জেল এবং থানের থানে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে অতিরিক্ত পরিমাণে বন্দি বেড়ে যাওয়ায় সেখানে সমস্যা হচ্ছে। ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্রের পর বন্দি অধিগ্রহণে এগিয়ে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ (১৫৯ শতাংশ), দিল্লি (১৫৯ শতাংশ), উত্তরপ্রদেশ (১৫১ শতাংশ) এবং সিকিম (১৫৫ শতাংশ)।
বিকল্প ব্যবস্থা
ছত্তিশগড় ও উত্তরপ্রদেশের পর পুরুষ বন্দির হারের দিক থেকেও দ্বিতীয় স্থান ও মহিলা বন্দিদের হারের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্রের সংশোধনাগারগুলি। মহারাষ্ট্রের জেল বিভাগের অতিরিক্ত ডিএসপি দীপক পাণ্ডে জানান যে অধিগ্রহণের হার কমানোর জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। জেল বিভাগের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে ৫৭টি সাব-জেল তৈরি করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, যেখানে বন্দীদের স্থানান্তর করা যেতে পারে।