ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে লড়াই! ২৩ বছরে দিল্লির ক্ষমতা থেকে কেন দূরে বিজেপি, উঠে আসছে নানা কারণ
বিজেপি দিল্লির ক্ষমতা থেকে দূরে সরে যায় ১৯৯৮ সালে। এরপর থেকে পরপর তিনবার সেখানে ক্ষমতায় থেকে কংগ্রেস। আর একবার আপ।
বিজেপি দিল্লির ক্ষমতা থেকে দূরে সরে যায় ১৯৯৮ সালে। এরপর থেকে পরপর তিনবার সেখানে ক্ষমতায় থেকে কংগ্রেস। আর একবার আপ। কিন্তু প্রশ্ন ওঠেই কেন গত ২৩ বছর ধরে দিল্লিতে ক্ষমতার বাইরে বিজেপি। সম্প্রতিক কালে তিন রাজ্য, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। যদিও হরিয়ানায় কোনও ক্রমে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে গেরুয়া বাহিনী।
রাজ্যের নির্বাচন সাহায্য করে আঞ্চলিক দলকে
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলি বিধানসভার নির্বাচনে স্থানীয় সাহায্য পাচ্ছে। নির্বাচনে বিজেপির জাতীয় ইস্যুগুলিকে স্থানীয় ইস্যু দিয়ে মোকাবিলা করছে। যেমনটি হয়েছে হরিয়ানায় জননায়ক জনতা পার্টির ক্ষেত্রে। এবারের নির্বাচনে তারাই কিং মেকার হয়ে উঠেছিল। বিজেপি নির্দিষ্ট সংখ্যায় পৌঁছতে ব্যর্থ হওয়ায় জেজেপির সাহায্য নিতে হয়। মহারাষ্ট্রে বিজেপি ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। কিন্তু স্থানীয় ইস্যু এবং আঞ্চলিক দল বিজেপির জয় চুরি করে নেয়।
একই ঘটনা ঘটে ঝাড়খণ্ডের ক্ষেত্রেও। হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা নির্বাচনে জয়লাভ করে। বিজেপি আটকে যয়ায় ২৫ টি আসন নিয়ে।
পদ্ধতি বদল বিজেপির
মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে দিল্লির নির্বাচনে বিজেপির তাদের প্রচার পদ্ধতিতে বদল করে। যখন আপ দিল্লিতে উন্নয়নের মাধ্যমে পরিবর্তনের কথা বলছে, সেই বিজেপি বিজেপি তুলেছে শাহিনবাগের কথা। আগ্রাসী জাতীয়তাবাদের প্রচার চালিয়েছে তারা। অনেকেই বলছেন দিল্লির নির্বাচন সাম্প্রদায়িক মোড় নিয়েছে। বিজেপি ভোটারদের মেরুকরণ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
বর্ণ, ধর্মের ভিত্তিতে আগে ভোট হয়নি দিল্লিতে
এর আগে দিল্লিতে বর্ণ, ধর্মের ভিত্তিতে ভোট ভাগাভাগি হয়নি বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বরং উন্নয়নের নিরিখেই ভোট হয়েছে।
১৯৯৮-এ বিজেপি ক্ষমতা হারায়
বিজেপি ১৯৯৮ নির্বাচনে দিল্লির ক্ষমতা হারায়। সেই সময় সুষমা স্বরাজের নেতৃত্বাধীন সরকার সবজি, বিশেষ করে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়েছিল। তবে ২০১৩-র নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েও সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না তাঁদের। সেই সময় কংগ্রেস আপকে সমর্থন করে। কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু ৪৯ দিন পরে ইস্তফা দেন কেজরিওয়াল। ফলে ২০১৫-তে ফের নির্বাচন।
পুরনো সমস্যা 'বাধা'
তবে পুরনো সমস্যা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপির সামনে। যা কংগ্রেসকেও বাধা দিয়েছে। তা হল অন্তর্দ্বন্দ্ব। মনোজ তিওয়ারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন বিজয় গোয়েলে এবং বিজেন্দর গুপ্তার ক্যাম্প। কেননা সবাই মুখ্যমন্ত্রী হতে চান।
এবারের 'আলাদা' প্রচার
তবে এবারের নির্বাচনে কিছুটা আলাদা প্রচার হয়েছে বিজেপির তরফে। শাহিনবাগ এবং সিএএ বিরোধী প্রচার বিজেপিকে সাহায্য করেছে। তাদের সমর্থনের ভিত্তিকে বাড়িয়েছে।