৩৭০ ধারা নিয়ে ভারত সরকারের পাশে দাঁড়ালেন কাশ্মীরের যুবরাজ করণ সিং
যেদিন কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রস্তাব রাজ্যসভায় পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
যেদিন জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রস্তাব রাজ্যসভায় পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেদিন সংসদে যে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল তাতে সামিল হয়েছিলেন কাশ্মীরের শেষ রাজা হরি সিংয়ের ছেলে করণ সিংও। ১৯৪৭ সালে হরি সিংয়ের স্বাক্ষর নিয়েই কাশ্মীরের এই বিশেষ মর্যাদা দান করা হয়েছিল।
স্বাভাবিকভাবেই সেদিন সংসদে যে বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবেন কাশ্মীরের যুবরাজ তাতে কোনও সন্দেহ ছিল না। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমর্থনে কথা বলতে শুরু করেছেন একাধিক বিরোধী নেতা।
[বন্যা থেকে শুরু করে কাশ্মীরের পরিস্থিতি, একনজরে দিনের সেরা ছবি]
এমনকী কংগ্রেসের মধ্যেও এই নিয়ে মতভেদ তৈরি হয়েছে। সেই বিরোধিতার জোয়াড়ে হঠাৎ করে যেন ভাঁটা পড়তে শুরু করেছে। এমনকী কদিন আগে যে যুবরাজ সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সেই করণ সিংও এখন একটু একটু করে মানতে শুরু করেছেন কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের ভালো দিকও রয়েছে।
কাশ্মীরের যুবরাজ করণ সিং জানিয়েছেন কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে কিছু ভালো দিকও আছে। এতোদিন পর লাদাখের বাসিন্দারা স্বাধীনভাবে নিজেদের রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। তাঁদের নিজস্ব রাজনৈতিক অধিকার তৈরি হবে। একইভাবে কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতারাও অনেক বেশি গুরুত্ব পাবেন।
এতদিন আইনের জটে উপত্যকার রাজনৈতিক নেতারা তেমন ভাবে নিজেদের রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রকাশ্যে আনতে পারতেন না। কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হয়ে যাওয়ার পর সেকাজ অনেকটাই ইতিবাচক হবে। এমনকী কাশ্মীরের বাসিন্দারাও স্বাধীনভাবে নিজেদের রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রকাশ করতে পারবেন।
তবে এই ধারা বিলোপের পর কাশ্মীরে রাজনৈতিক দলেন নেতাদের গৃহবন্দি করে রাখার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। মুফতি, ওমরদের অবিলম্বে মুক্ত করা উচিত বলে দাবি করেছেন প্রবীণ এই কংগ্রেস সাংসদ এবং কাশ্মীরের যুবরাজ।