কর্ণাটকের বিদ্রোহী বিধায়কদের ভাগ্য এবার স্পিকারের হাতে
সরকারের পতন তো হয়ে গিয়েছে। কিন্ত বিদ্রোহী বিধায়করা এবার কী করবেন। তারণ তাঁদের ভাগ্য এখন বিধানসভার স্পিকারের হাতে। তাঁদের পদত্যাগ পত্র গৃহীত হবে কিনা সেটার সিদ্ধান্ত একমাত্র স্পিকারই নিতে পারেন।
সরকারের পতন তো হয়ে গিয়েছে। কিন্ত বিদ্রোহী বিধায়করা এবার কী করবেন। তারণ তাঁদের ভাগ্য এখন বিধানসভার স্পিকারের হাতে। তাঁদের পদত্যাগ পত্র গৃহীত হবে কিনা সেটার সিদ্ধান্ত একমাত্র স্পিকারই নিতে পারেন। শীর্ষ আদালত যদিও স্পিকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। এদিকে আজই স্পিকারের সঙ্গে বিদ্রোহী বিধায়কদের দেখা করার কথা।
আজই সেই চরম মূহুর্ত, কারণই স্পিকারই ঠিক করবেন বিদ্রোহীদের পদত্যাগ গ্রহন করা হবে না তাঁদের বরখাস্ত করা হবে। কারণ বিদ়্রোহের দায়ে স্পিকার তাঁদের বরখাস্ত করতেই পারেন। যদি স্পিকার তাঁদের বরখাস্ত করেন তাহলে তাঁরা আর মন্ত্রী হতে পারবেন না। এমনকী পরবর্তী উপনির্বাচনেও তাঁরা প্রার্থী হতে পারবেন না। আবার সেই পরবর্তী বিধানসভা ভোটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে তাঁদের। এছাড়াও বরখাস্ত করার অর্থ হল তাঁরা কোনওভাবেই বিধানসভার পরিদষদীয় দলের সদস্য হতে পারবেন না।
যদিও স্পিকারের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ওই ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়ক আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। কিন্তু আদালতে সেই নািলশ ধোপে টিকবে না। কারণ বিধানসভায় কংগ্রেস এবং জেডিএসের হুইপ অমান্য করেছেন তাঁরা। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট বিদ্রোহী বিধায়কদের পদত্যাগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা স্পিকারকে দিয়েছেন। কাজেই আদালতে মামলা ঠুকলেও েসই মামলা দীর্ঘমেয়াদি হবে তাতে লাভ হবে না বিদ্রোহী বিধায়কদের।
এদিকে যদি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় তাহলে ছ'মাসের মধ্যে বিধানসভা ভোট করাতে হবে। তখন আর এই বরখান্ত করার শাস্তি কাজ করবে না। অনায়াসেই ভোটে দাঁড়াতে পারবেন বিদ্রোহী বিধায়করা। নইলে সমূহ বিপদ অপেক্ষা করছে তাঁদের জন্য।