পাঞ্জাব আদালতে বোম বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার মূল চক্রী
চলতি বছরের ২৩ ডিসেম্বরের ঘটনা। মারাত্মক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল লুধিয়ানা জেলা আদালত। পাঞ্জাব পুলিশ এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, এর পেছনে দায়ী 'জাস্টিস ফর শিখস' সংগঠন। এবার বার্লিন থেকে গ্রেফতার করা হল মূলচক্রীকে। জানা গিয়েছে, জাস্টিস ফর শিখস সংগঠনের সেই নেতার নাম জসবিন্দর সিং মুলতান।

কী পরিকল্পনা ছিল মুলতানের?
জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের অস্ত্রপাচারকারীদের মারফৎ আরও বেশি পরিমাণে বিস্ফোরক আনতে চেয়েছিল সে। এভাবেই দেশের অন্যান্য প্রান্তে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছিল। গোপন সূত্রের খবর, গোয়েন্দারা প্রথমে বিস্ফোরণস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করেন। তারপরই মুলতানের পরিকল্পনা, এই ঘটনায় তার যোগ খুঁজে পান।

একাধিক অভিযোগ মুলতানের বিরুদ্ধে!
তবে শুধুই যে লুধিয়ানা আদালতে বিস্ফোরণের জন্য মুলতান দায়ী, এমনটা নয়। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে পাঞ্জাবের খেমকরনে অস্ত্র মজুত করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০ অক্টোবর তারিখে ইন্দো-পাক সীমান্তের কাছে খেমকরন অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রের হদিশ পেয়েছিল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। ২২ টি পিস্তল, ৪৪ টি ম্যাগাজিন এবং ১০০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছিল সেখান থেকে৷ পাশাপাশি পাওয়া গিয়েছিল এক কেজি হেরোইন।

রয়েছে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের হাত!
সূত্র বলছে, পাকিস্তানের গোপন গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই মুলতানের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়েছিল। ভারতীয় গোয়েন্দারা মনে করছেন, ২৩ তারিখ লুধিয়ানা আদালতের দ্বিতীয় তলায় বোমা রেখেছিলেন পাঞ্জাব পুলিশের প্রধান কনস্টেবল গগনদীপ সিং৷ বোমা রাখা মাত্রই তা ফেটে যায় এবং তাঁর মৃত্যু হয়৷ এর আগে এক মাদক পাচারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল গগনদীপ সিংকে। এনডিপিএস আইন অনুযায়ী তাঁকে গ্রেফতার করা হয় এবং ২০১৯ সালে দু'বছরের জন্য কারাবাসে পাঠানো হয়৷ এক্ষেত্রেও ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারনা, গগনদীপকে সাহায্য করেছে পাকিস্তানি আইএসআই।

পাঞ্জাবের বর্তমান রাজনীতি!
প্রসঙ্গত বছরের শুরুতেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে পাঞ্জাবে৷ অমরিন্দর সিং কংগ্রেস ছাড়া থেকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তো রয়েইছে রাজ্যটিতে, পাশাপাশি একাধিক সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনাও ঘটেছে৷ সম্প্রতি ধর্ম অবমাননার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে রাজ্য সরকার৷ অন্যদিকে এরকম বিষয় যাতে আর না ঘটে তার জন্য পাঞ্জাব সরকার নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলেছে কেন্দ্র। এরকম অবস্থাতেই অমরিন্দর সিং আকালি দল ও বিজেপি একসঙ্গে জোট তৈরি করে নির্বাচন লড়তে চলেছে পাঞ্জাবে৷
রাতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা! আটক একাধিক ডাক্তার, লাঠিচার্জের অভিযোগ