ডিআরডিওর কোভিড–১৯ ওষুধ কেন একটি সংস্থা প্রস্তুত করছে? কেন্দ্রকে প্রশ্ন মাদ্রাজ হাইকোর্টের
ডিআরডিওর কোভিড–১৯ ওষুধ নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
করোনা টিকাকরণের পাশাপাশি মারণ ভাইরাস রোগের চিকিৎসায় ডিআরডিও দ্বারা প্রস্তুত করা ওষুধ ২–ডিওক্সি–ডি–গ্লুকোজকে ইতিমধ্যে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু এই ওষুধ প্রস্তুত করছে একমাত্র হায়দরাবাদের ডাঃ রেড্ডি ল্যাবরেটরি। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট শুক্রবারের মধ্যে কেন্দ্রকে এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে। প্রসঙ্গত, করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এই ওষুধ ভালো কার্যকারিতা দেখিয়েছে।
হাইকোর্টের বিচারপতিরা জানিয়েছেন যে সরকারের পক্ষ থেকে উৎপাদনের হার বাড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত, বিশেষ করে যখন প্রথম দু’টি ওয়েভের মহামারিতে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং তৃতীয় ওয়েভের সংক্রমণেও আর মানুষ মারা যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। আদালত শুক্রবারের মধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, ডিআরডিও এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিক্রিয়া নির্ধারণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের স্থায়ী আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছে।
চেন্নাইয়ের এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী ডি সরভনার জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে হাইকোর্ট এই নির্দেশ দেয়। আবেদনকারীর মতে, ডিআরডিওর ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্স (আইএনএমএএস) ২–ডিজি করোনার ওষুধ প্রস্তুত করে এবং জরুরি ব্যবহারের জন্য ভারত সরকারের ওষুধ নিয়ামক সংস্থার থেকে অনুমোদন পায়। কিন্তু খুব আশ্চর্যজনকভাবে এই ওষুধ প্রস্তুতের জন্য শুধুমাত্র ডাঃ রেড্ডির ল্যাবরেটরিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়, যারা ২.৩৪ গ্রামের ওরাল পাউডারের প্যাকেট ৯৯০ টাকায় বাজারে বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছে। মহামারিতে যেখানে লক্ষ লক্ষ প্রাণ হারাচ্ছে সেখানে এই একচেটিয়া ব্যবস্থা ভালভাবে পরিচালিত হতে পারে না, এই আশঙ্কায় আবেদনে একাধিক ওষুধ সংস্থাকে লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়ে জোর জোর দেওয়া হয়েছে। আবেদনকারীর আইনজীবী এও জানিয়েছে যে ডিআরডিওকে এই ওষুধ স্বল্প মূল্যে বিক্রি করার নিশ্চয়তাও দিতে হবে।
করোনার মন্দা বাজারে কর্মসংস্থান নিয়ে বড় ঘোষণা রিলায়েন্সের, কী জানালেন মুকেশ আম্বানি
প্রসঙ্গত, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে যে এই ওষুধ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোভিড-১৯ রোগীদের সুস্থ করে তোলে দ্রুত এবং তাঁদের পরিপূরক অক্সিজেন নির্ভরতা হ্রাস করে। ২–ডিজি ওষুধটি অনেকটা গ্লুকোজের মতো। পাউডার হিসেবে মিলবে এই ওষুধ। খেতে হবে জলে গুলে। এই ওষুধটি ভাইরাস সংক্রমিত কোষগুলিতে জমে এবং ভাইরাল সংশ্লেষণ এবং শক্তি উৎপাদন বন্ধ করে ভাইরাসের বৃদ্ধি রোধ করে।