৩ মার্চ দোষীদের ফাঁসি হলে দীর্ঘদিনের লড়াই শেষ হবে: আশা দেবী
৩ মার্চ দোষীদের ফাঁসি হলে দীর্ঘদিনের লড়াই শেষ হবে: আশা দেবী
২০১২ সালের দিল্লি গণধর্ষণের তরুণীর মা আশা দেবী মঙ্গলবার জানিয়েছেন যে ৩ মার্চ তাঁর মেয়ের দোষীদের ফাঁসি হওয়ার পরই তাঁর লড়াই শেষ হবে। সোমবারই দিল্লি আদালতের পক্ষ থেকে ওই চার সাজাপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে তৃতীয়বারের জন্য মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আশা দেবী বলেন, 'এ নিয়ে বেশ কয়েকবার অপরাধীদের ফাঁসির দিন ধার্য করল আদালত। আশা করি, এটাই চূড়ান্ত তারিখ। সবাইকে নির্দিষ্ট কয়েকবারের জন্যই প্রাণভিক্ষার আবেদনের সুযোগ দেওয়া উচিত, এই ৪ জন যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছে। ৩ তারিখ এদের ফাঁসি হলে তবেই আমাদের এতদিনের লড়াইয়ের ইতি হবে।’ নির্ভয়ার মা আরও বলেছেন, 'এর আগেও কয়েকবার এদের জন্য মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয়েছে। কিন্তু গতকাল আর এদের হাতে আবেদনের কোনও সুযোগ ছিল না। গোটা বিশ্ব বুঝতে পারছে, এরা মৃত্যুদণ্ড এড়ানোর চেষ্টা করছে। আদালতও বুঝছে সেটা।’
৩ তারিখ সকাল ৬টায় নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যার ৪ অপরাধী বিনয় শর্মা, অক্ষয় ঠাকুর, পবন গুপ্ত ও মুকেশ সিংয়কে ফাঁসি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। এর আগে ৭ জানুয়ারি তিহার জেলে তাদের ফাঁসি হবে বলে ঠিক হয়। কিন্তু প্রাণভিক্ষার আবেদন করায় তারিখ পিছিয়ে হয় ২২ জানুয়ারি। ফের আবেদন জমা পড়ায় তারিখ আবার পিছিয়ে যায়, ঠিক হয় এ মাসের ১ তারিখ হবে ফাঁসি। এরপর দিল্লি আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য ফাঁসির দিন পিছিয়ে দেয়। বারবার ফাঁসির দিন পিছিয়ে যাওয়ার জন্য ক্ষোভে ফেটে পড়েন নির্ভয়ার মা। তবে ফাঁসির এই দিনটি নিয়েও অনিশ্চয়তা শেষ হয়নি। কারণ, দোষী সাব্যস্ত পবনের সামনে এখনও শীর্ষ আদালতে কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করার সুযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রপতির সামনে প্রাণভিক্ষার আর্জিও জানাতে পারে সে। এই দুই প্রক্রিয়ার পরেও তার ফাঁসির সাজা বহাল থাকলে প্রাণদণ্ডের জন্য আরও ১৪ দিন অপেক্ষা করতে হবে। পবনের আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল এই দুই রাস্তাই ব্যবহার করতে চাইছে। অক্ষয় কুমারের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলও রাষ্ট্রপতির কাছে নতুন করে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে চলেছে।