মহারাষ্ট্রের আম-সবেদায়, ভারতে নাও গড়াতে পারে বুলেট ট্রেনের চাকা
মহারাষ্ট্রে আম-সবেদা ইত্যাদী ফল-চাষীরা বিকল্প জীবিকার নিশ্চয়তা ছাড়া বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য জমি ছাড়তে রাজি নন।
মহারাষ্ট্রে আম-সবেদার ইত্যাদি ফল-চাষীদের বাধায় ভেস্তে যেতে বসেছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাধের বুলেট ট্রেন প্রকল্প। এই চাষীদের পেছন থেকে মদত দিচ্ছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারাও। সরকার থেকে জমির বিনিময়ে অনেক টাকা দেওয়ার প্রস্তাব এলেও বিকল্প জীবিকার নিশ্চয়তা ছাড়া এক ছটাক জমিও ছাড়তে রাজি নন চাষীরা।
জাপান সরকারের সহায়তায় ভারতে ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই প্রকল্প গড়া হচ্ছে। জমি অধিগ্রহনের যাবতীয় কাজ মিটিয়ে ফেলার কথা এবছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই। মহারাষ্ট্রের ফল চাষীদের সম্মিলিত প্রতিবাদের মুখে সে সময় রাখা সম্ভব তো হবেই না, প্রকল্পটিই না ভেস্তে যায় সেই চিন্তা দেখা দিয়েছে।
বুলেট ট্রেন প্রকল্পের ওই অংশের জমি অধিগ্রহন নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরেই অসন্তোষ দানা বাধছিল। চাষীরা অর্থের বদলে তাদের জীবিকা জলাঞ্জলী দিতে রাজী নন। তার জেরে সম্পূর্ণ বুলেট ট্রেন করিডোরের প্রায় এক পঞ্চমাংশ বা ১০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকার জমি অধিগ্রহনের কাজ থমকে গিয়েছে। সরকার জমির দাম হিসেবে বাজার দরের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশিই দাম ধার্য করেছে। এছাড়া পুনর্বাসনের জন্য আরও ৫ লক্ষ টাকা বা জমির দামের ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু অর্থে ভুলছেন না এই ফল চাষীরা। তাঁদের একটাই বক্তব্য অর্থ নয় বিকল্প কর্মসংস্থান চাই।
এদিকে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমি অধিগ্রহন না করা গেলে জাপানের তরফ থেকেও যে কম সুদের হারে লোন দেওয়া হচ্ছে, তা আসতে দেরী হবে। পরের মাসেই জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির প্রতিনিধিদের প্রকল্পের অগ্রগতির খোঁজখবর নিতে আসবেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় রেলের পদস্থ কর্তারা। এই পরিস্থিতিতে অবস্থা সামাল দিতে এমাসেই ভারতের পক্ষ থেকে জাপানের পরিবহন মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে একটি মিটিং করার আবেদন করা হচ্ছে।