‘এক দেশ এক গ্রিড’ বিদ্যুৎ সরবরাহে নতুন দিশা মোদীর বাজেটে
বিদ্যুতের দাম আর সরবরাহ দুই নিয়েই বিস্তর অভিযোগ গোটা দেশে। বিদ্যুতেক ইউনিটের দাম বেড়ে চলছে অথচ সরবরাহে খামতি থেকে যাচ্ছা।
বিদ্যুতের দাম আর সরবরাহ দুই নিয়েই বিস্তর অভিযোগ গোটা দেশে। বিদ্যুতেক ইউনিটের দাম বেড়ে চলছে অথচ সরবরাহে খামতি থেকে যাচ্ছা। দামের চোটে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছলেও তা চালু রাখতে হিমসিম খাচ্ছেন মানুষ। এই পরিস্থিতিতে নতুন দিশা দেখালেন মোদী সরকার। বাজেট অধিবেশনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করলেন এক দেশ এক গ্রিড প্রকল্প। অর্থাৎ এখন আর সেক্টর হিসেবে বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে না। গ্রিড অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এতে একদিকে যেমন বিদ্যুতের ভোল্টেজ নিয়ে সমস্যা থাকবে না তেমনই কাটবে লোডশেডিংয়ের দাপট।
মোদীর ঘোষণা
কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিদ্যুৎ চুরি রুখতে স্মার্ট মিটার চালু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ চুরি অনেকটাই রোখা যাবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
দাম নিয়েও তৎপর সরকার
শুক্রবার বাজেট অধিবেশনে নির্মলা জানান, বিদ্যুতের দাম নিয়েও যথেষ্ট তৎপর সরকার। যাতে বিদ্যুতের দামে সামাঞ্জস্য আনতে পারে সরকার সেদিকটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হর ঘর বিজলি যোজনা
মোদী প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই ‘প্রধানমন্ত্রী সহজ হর ঘর বিজলি যোজনা' অর্থাৎ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই প্রকল্পের রিপোর্ট কার্ড পেশ না করেই এক দেশ এক গ্রিড প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে মোদী-টু সরকার। সেসময় গরিবরদের ঘরে ঘরে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার কথা বলেছিলেন মোদী। আর এবার বললেন বিদ্যুতের দামে সামঞ্জস্য আনার কথা ভাবা হচ্ছে।
গোয়েলের ঘোষণা
যদিও লোকসভা ভোটের আগে অন্তর্বর্তী বাজেটে পীযূষ গোয়েল জানিয়েছিলেন ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ গ্রামীণ এলাকাতেই বিদ্যুৎ ছিল না। গত পাঁচ বছরে বিদ্যুতায়ণের কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির উদাহরণ টেনেই সেকথা বলেছিলেন তিনি। অথচ কয়েক দিন আগে নীতি আয়োগের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, অধিকাংশ সরকারি দফতরেরই কোটি কোটি টাকা বিদ্যুতের বিল বকেয়া পড়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিকে এক দেশ এক গ্রিড প্রকল্পের কার্যকারিতা কতটা সেটা সময় বলবে।
[আরও পড়ুন:প্রবাসী ভারতীয়দের হাতে আধার কার্ড সহজেই, ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর]
[আরও পড়ুন:বিমা ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ, এফডিআই-র মাত্রা বাড়ছে মিডিয়াতেও ]