বিজেপির বর্তমান আয় বেড়ে হয়েছে ২৪১০ কোটি টাকা, যার ৬০% আসছে নির্বাচনী বন্ড থেকে
দেশে
না
আছে
চাকরি
না
আছে
শিল্প।
সাধারণ
মানুষ
'আচ্ছে
দিনের'
আশায়
প্রহর
গুনতে
গুনতে
বিনিময়ে
উপহার
পেয়েছেন
বিতর্কিত
নাগরিকত্ব
আইন।
বিরোধীদের
অভিযোগ
যে
'আচ্ছে
দিন'
এর
স্বপ্ন
সাধারণ
মানুষকে
দেখিয়েছিলেন
প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র
মোদী,
তার
ছিটেফোঁটাও
অনুভব
করার
আগেই
মানুষের
নাগরিকত্ব
নিয়ে
প্রশ্ন
তুলে
দিয়েছেন
তিনি।
অন্যদিকে চূড়ান্ত আর্থিক মন্দায় ভুগছে গোটা দেশ। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, উল্লেখযোগ্য হারে জিডিপির পতন, শেয়ার বাজারে ধস লেগেই রয়েছে দেশে। এর মধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে বিজেপি নিজেদের আয় ব্যয়ের হিসেব জমা দিতেই স্তম্ভিত গোটা দেশ। একাধিক প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলেও।
নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া বিজেপির আয় ব্যয়ের খতিয়ানে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮–১৯ আর্থিক বর্ষে বিজেপির আয় বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। ২০১৭-১৮ আর্থিক বর্ষে বিজেপির আয় ছিল ১০২৭ কোটি টাকা, যা গত আর্থিক বর্ষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪১০ কোটি টাকা। বিজেপি সূত্রের খবর, এই আয়ের ৬০ শতাংশই এসেছে নির্বাচনী বন্ড থেকে।সূত্রের খবর, ২০১৭-১৮ আর্থিক বর্ষে বিজেপির মোট ব্যয় হয়েছে ৭৫৮ কোটি টাকা, যার মধ্যে প্রায় ৫৬৭ কোটি টাকাই ব্যয় হয়েছে ভোট প্রচার বাবদ।
গতবছর, বিজেপির ব্যয় বাড়লেও তা তাদের আয় দিয়ে পুষিয়ে গেছে বলেই মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। গতবছর বিজেপির ১০০৫ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রায় ৭৯২.৪ কোটি টাকাই খরচ হয়েছে ভোটের প্রচারে।কিন্তু নির্বাচনী বন্ড থেকে তাদের আয় হয়েছে প্রায় ২১০ কোটি টাকা। সারাদেশ আর্থিক মন্দার শিকার হলেও বিজেপির আয়ে যে তার প্রভাব ছিটেফোঁটাও পড়েনি তা জলের মত স্পষ্ট হয়ে উঠল দেশবাসীর কাছে।