৩৯ বছর বাদে ফুল দেবী হত্যাকাণ্ডের রায় দিতে চলেছে আদালত
ধর্ষণ এখন আমাদের সমাজে গা সওয়া হয়ে গ্যাছে। অভিযুক্তের তৎক্ষণাৎ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি তো সোনার পাথর বাটি। তবে আমাদের দেশের ইতিহাসে ধর্ষিতার হাতে বন্দুক তুলে নেওয়ার মত ঘটনাও রয়েছে।
প্রথমটা শুনলে গা খানিক গুলিয়ে ওঠে। কিন্তু তারপরেরটুকু স্বস্তি। দলিত ডাকাতরানী ফুলনদেবী উচ্চজাতের একাধিক ঠাকুরের দ্বারা নির্মম ভাবে ধর্ষিত হয়েছিলেন বারংবার। চোখ বাঁধা অবস্থায় একের পর এক বুভুক্ষু লোলুপ দৃষ্টি ছিঁড়েখুঁড়ে খেয়েছিল ফুলন-দেবীর শরীর। এই ঘটনার পরেই, ১৯৮১ সালে বেহমাই গ্রামে নিজের ধর্ষক ও তার সাক্ষীদের নিজে হাতে গুলি করে হত্যা করেছিলেন ফুলনদেবী।
রাম ও শ্রীরাম নামের দুই ঠাকুর ও যুক্ত ছিল ফুলন-দেবীর গণ ধর্ষণের সাথে। ১৯৮১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনা ঘটেছিল। মামলার প্রায় ৩৯ বছর বাদে গত ৬ই জানুয়ারি এই মামলা আদালতে ওঠার কথা হলেও তা পিছিয়ে যায়। যদিও এই মামলার মূল অভিযুক্ত ফুলনদেবী সহ মোট ২৮ জন, যাদের মধ্যে বর্তমানে ১৭ জনই মৃত। এবার শনিবার সেই মামলার রায় প্রকাশ হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে।
ধর্ষকদের নিজে হাতে হত্যা করে বীর নারীর মত ১৮৮৩ সালে ফুলনদেবী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তারপর মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র ও জব্বলপুরের জেলে ১১ বছর বন্দী থাকার পর, ১৯৯৬ সালে লোকসভা নির্বাচনে লড়ে জয়ী ও হন তিনি। কিন্তু ২০০১ সালের ২৫ শে জুলাই নতুন দিল্লিতে সংসদ থেকে ফেরার সময় গুলি করে হত্যা করা হয় ফুলন দেবীকে।