উত্তরপ্রদেশে জয়ের রেকর্ড ভাঙবে BJP! জনগণ সরকারের পক্ষে বলেই দাবি দীনেশ শর্মার
সাধারন কোন সরকার কোথাও বেশ কিছুদিন ক্ষমতায় থাকার পর সেই রাজ্য বা দেশে একটি 'শাসক-বিরোধী' তরঙ্গ তৈরি হয়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে উত্তরপ্রদেশও এর বাইরে নয়। তবে একদমই এর উল্টো কথা বলছেন উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দীনেশ
সাধারন কোন সরকার কোথাও বেশ কিছুদিন ক্ষমতায় থাকার পর সেই রাজ্য বা দেশে একটি 'শাসক-বিরোধী' তরঙ্গ তৈরি হয়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে উত্তরপ্রদেশও এর বাইরে নয়। তবে একদমই এর উল্টো কথা বলছেন উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, সরকার-বিরোধী নয় বরল উত্তরপ্রদেশে সরকারের পক্ষে মানুষের সমর্থণ রয়েছে৷ এবং সে কারণেই এবার (২০২২ সালে) উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় বিজেপি আগের সব রেকর্ড ভেঙে বড় অঙ্কের জয় নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবে৷
পিটিআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শর্মা বলেন, যে তাঁকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী না করার দলের সিদ্ধান্ত ছিল। এবং তিনি যে সম্প্রদায়ের মানুষ সেই ব্রাহ্মণরা বিজেপির প্রতি অসন্তুষ্ট এমন বক্তব্যও প্রত্যাখ্যান করেছেন দীনেশ। ইউপির উপ-মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিজেপি তার আগের সব রেকর্ড ভাঙতে চলেছে৷
রাজ্যে কোনও অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি নেই, বরং এটি প্রো-ইনকাম্বেন্সি৷ যোগী আদিত্যনাথ সরকারের কাজের কারণে আমরা যেখানেই যাই সেখানেই আমরা মানুষের উৎসাহি প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। এবার দল নয়, বিজেপির হয়ে ভোটে লড়ছেন মানুষ।
নির্বাচনী প্রচারে বিশাল জনসমাগম এবং সেখানে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়ায় তাঁকে এরকম আশ্বাস দিয়েছে বলেও জানান উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী। দীনেশ আরও বলেন এবার প্রতি কেন্দ্রে প্রার্থী নয়, দলীয় প্রতীক ও দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার ৪০৩টি আসনের ৩১২টিতে জিতেছিল বিজেপি৷ এবং জোটের বাকি দলগুলির সঙ্গে মিলে ৩২৫ এর সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পৌঁছেছিল এনডিএ।
গেরুয়া শিবিরের নেতারা দাবি যে এবার তাঁদের সংখ্যা ২০১৭ সালের পরিসংখ্যানকেও ছাড়িয়ে যাবে। শর্মা লখনউয়ের যেকোনো আসন থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল,কিন্তু চূড়ান্ত দলের তালিকায় তার নাম আসেনি।
এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে, তিনি বলেন, 'আমাদের দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শীর্ষ নেতৃত্বের দ্বারা নেওয়া হয়। আমি দলের জাতীয় সহসভাপতি, গুজরাতের ইনচার্জ ছিলাম এবং বিধান পরিষদে আমার মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত। দল চেয়েছিল যে আমি সংগঠনের কাজ করি এবং আমি তা করছি।
রাজ্যের বিজেপি সরকারের শীর্ষ তিনজনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং এক উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যের পাশাপাশি, শর্মাই একমাত্র বড় মুখ যিনি এবারের বিধানসভায় প্রার্থী হচ্ছেন না। বতর্মানে এই তিনজনই বিধান পরিষদের সদস্য।
এর আগে শর্মা ১০ বছর লখনউ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন৷ বিজেপির তারকা প্রচারকদের মধ্যে একজন শর্মা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে তিনি ৬৪টি জেলা সফর করেছেন এবং দলের পক্ষে ১৫০ টিরও বেশি জনসভায় ভাষণ দিয়েছেন।