আগে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করুন, শিবসেনার ঠাকরে ও শিন্ডে শিবিরকে নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ আঘাদি সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে কার দখলে শিবসেনা থাকবে সেই নিয়ে দলের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে শিবসেনার অভ্যন্তরে দুটো শিবির তৈরি হয়ে গিয়েছে। দলের হাল কোন শিবিরের হাতে থাকবে সেই নিয়েই শিবসেনার অভ্যন্তরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার নির্বাচন কমিশন একনাথ শিন্ডে ও উদ্ধব ঠাকরেকে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থনের প্রমাণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ৪ অগাস্টের মধ্যে একনাথ শিন্ডে ও উদ্ধব ঠাকরেকে দলের সদস্যদের সমর্থনের সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে। এরপরেই নির্বাচন শিবসেনার দুই গোষ্ঠীর দাবি ও অভিযোগের শুনানি করবে বলে জানা গিয়েছে। শিবসেনার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব বর্তমানে নিবার্চন কমিশনে পৌঁচেছে। উভয় গোষ্ঠী ঠাকরে শিবির ও শিন্ডে শিবির নির্বাচনী প্যানেলকে চিঠি দিয়েছিল। সেখানে উভয় গোষ্ঠী নিজেদের 'আসল শিবসেনা' বলে দাবি করেছে।
ঠাকরে শিবিরের অনিল দেশাই একাধিকবার ইএসআইকে চিঠি দেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, শিবসেনার কিছু সদস্য দলবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছেন। শিন্ডে গোষ্ঠী শিবসেনা বা বালা সাহেব ঠাকরের নাম ব্যবহার করে কোনও রাজনৈতিক দল তৈরি করতে পারে। সেই বিষয়েও নির্বাচন কমিশনের কাছে ঠাকরে শিবিরের তরফে আপত্তি তোলা হয়। অনিল দেশাই একনাথ শিন্ডে, গুলাবরাও দেশাই, তানজি সাওয়ান্ত ও উদয় সামন্তকে দলের বিভিন্ন পদ থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।
নির্বাচনী
প্রতীক
সংক্রান্ত
নির্দেশ
(সংরক্ষণ
ও
বরাদ্দ)
১৯৬৮
-এর
অনুচ্ছেদ
১৫-এর
শিন্ডে
শিবিরের
তরফেও
একটি
পিটিশন
দায়ের
করা
হয়েছিল।
সেখানে
একনাথ
শিন্ডের
নেতৃত্বাধীন
দলটিকে
শিবসেনা
হিসেবে
আবেদন
করা
হয়।
পাশাপাশি
দলটি
শিবসেনার
দলীয়
প্রতীক
ধনুক
ও
তীর
বরাদ্দ
করার
আবেদন
করা
হয়।
পাশাপাশি
শিন্ডে
শিবির
জানিয়েছে,
৫৫
জন
বিধায়কের
মধ্যে
৪০
জন,
বিভিন্ন
পৌরসভার
সদস্য
ও
১৮
জন
সাংসদের
মধ্যে
১২
জন
সাংসদ
তাঁদের
সমর্থন
করছেন।
উভয়
শিবিরই
নিজেদের
আসল
শিবসেনা
দাবি
করেছে।
একপক্ষের
দাবি
দলের
সভাপতি
যে
শিবিরে
রয়েছেন,
সেটাই
আসল
শিবসেনা।
শিন্ডে
শিবিরের
দাবি,
দলের
নির্বাচিত
প্রতিনিধিদের
বেশিরভাগের
সমর্থন
রয়েছে।
তাই
তারা
আসল
শিবসেনা।
যখন একই রাজনৈতিক দলের দুটো উপদল তাদের দলীয় প্রতীকের দাবি করে, সেই সময় নির্বাচন শুনানির মাধ্যমে তার ফয়সালা করে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের তরফে শীর্ষ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী পদগুলোকে চিহ্নিত করে। তাদের গরিষ্ঠতা কোন শিবিরকে সমর্থন করছে, তা পর্যবেক্ষণ করা হয়। পাশাপাশি নির্বাচিত বিধায়ক ও সাংসদদের মধ্যে বেশিরভাগ কোন শিবিরকে সমর্থন করছে, তা চিহ্নিত করা হয়। তারপরেই কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। যদি কোনও নির্বাচন কাছাকাছি হয়, সেক্ষেত্রে উপদলগুলোকে অস্থায়ী প্রতীকের সাহায্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়।