কুৎসিত মেয়েদের বিয়েতে সহায়তা করে পণপ্রথা, পাঠ্যবইতে যৌতুকের গুণ দেখে ভির্মি খাচ্ছে নেটিজেনরা
কুৎসিত মেয়েদের বিয়েতে সহায়তা করে পণপ্রথা, পাঠ্যবইতে যৌতুকের গুণ দেখে ভির্মি খাচ্ছে নেটিজেনরা
পণপ্রথা পদ্ধতির 'গুণাবলী ও সুবিধা’র তালিকা দেওয়া একটি বইয়ের পাতা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর নেটিজেনরা রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছে। এই ধরনের পঠন সামগ্রী তরুণ ও বৃহত্তর সমাজের কাছে কী বার্তা দিচ্ছে, তা সত্যিই মানুষকে অবাক করেছে। আমাদের ভারতীয় সমাজে পণপ্রথা একটি কালো দাগ। এই প্রথার বলি হতে হয় মেয়েদের। আজও সঠিক বিচার হয়না এই পণপ্রথার।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী অনেকেই জানিয়েছেন টিকে ইন্দ্রাণীর লেখা বই সোসিওলজি ফর নার্সেস পাঠ্যবইয়ের এটি পাতা, যেখানে 'পণপ্রথার গুণাবলী’ সাবহেডে এই অংশটি রয়েছে। এই বইটি নার্সিং পড়ুয়াদের পাঠ্যবই এবং বইটির কভার বলছে ভারতীয় নার্সিং কাউন্সিলের পাঠ্যক্রম মেনেই এটি লেখা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বইয়ের পাতা শেয়ার করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শিবসেনা নেতা ও রাজ্য সভার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদি, যিনি শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে এই ধরনের বইগুলিকে প্রচার থেকে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং পাঠ্যক্রমে এগুলির উপস্থিতি একটি 'লজ্জাজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন।
বইয়ের ওই অংশে বলা হয়েছে, 'আসবাবপত্র, রেফ্রিজারেটর এবং যানবাহনের মতো যন্ত্রপাতি সহ যৌতুক নতুন পরিবার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক।’ সেই তালিকায় আরও বলা হয়েছে যে মেয়েদের যৌতুকে পিতামাতার সম্পত্তির অংশ পাওয়াকে পশ্চাদপসরণমূলক প্রথার আরেকটি 'যোগ্যতা’ হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যা দীর্ঘদিন ধরে দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে কিন্তু তা সত্ত্বেও অব্যাহত রয়েছে। প্রসঙ্গত, এই পণপ্রথার ফাঁদে পড়ে আজকেও মেয়েরা হেনস্থা, শারীরিকভাবে নির্যাতন, খুন এবং পণের দাবি সহ্য করতে না পেরে মেয়েদের আত্মঘাতী পর্যন্ত হতে হয়।
মঙ্গল গ্রহে গান গাইতে চান, আপনাকে একটি কাজ করতেই হবে, গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
ওই অংশটিতি আরও বলা হয়েছে যে, পণপ্রথা পদ্ধতির 'একটি পরোক্ষ সুবিধা’ হল যে অভিভাবকরা এখন তাঁদের কন্যা সন্তানকে শিক্ষা দিচ্ছেন যাতে তাঁদের কম যৌতুক দিতে হয়। পণপ্রথা পদ্ধতির পাতায় শেষ পয়েন্টে বলা হয়েছে যে পণপ্রথা পদ্ধতি কুৎসিত মেয়েদের বিয়েতে সহায়তা করে। এক টুইটার ব্যবহারকারী এই বইটিকে আতঙ্ক বলে অ্যাখা করেছে এবং জানিয়েছে যে এই ধরনের বই কলেজ-স্তরের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমের অংশ ভেবে দুঃখ লাগছে।