সার্ক বৈঠকে প্রথম থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিং ভারতের! চিন-পাকিস্তানকে একহাত নিয়ে দাপুটে বার্তা জয়শঙ্করের
সার্ক বৈঠকে প্রথম থেকেই রীতিমতো ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করে ভারত! এদিন সার্ক কাউন্সিল অফ মিনিস্টার্সের বৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নিজের বক্তব্যে প্রথম থেকেই চিন , পাকিস্তানকে নিশানায় রেখে একের পর এক তোপ দাগেন।
চিন -পাকিস্তানকে একহাত
এদিনের বৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাস , রাস্তা রোধ করা, বাণিজ্যের যাতায়াত রোধ করা সম্পর্কিত একাধিক ইস্যু রয়েছে যা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সার্কভূক্ত দেশগুলির কাছে। এটিকে কাটিয়ে উঠতে হবে। উল্লেখ্য, সন্ত্রাসের প্রশ্নে যে তিনি পাকিস্তানকে টার্গেটে রাখেন, আর রাস্তা রোধের প্রশ্নে যে তিনি চিনকে টার্গেটে রাখেন সেবিষয়ে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।
শান্তির বার্তা
লাদাখ সংঘাত বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার বুকে ব্যাপক উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আর সেই প্রেক্ষাপটে লাদাখে অবৈধভাবে ঢুকে থাকা চিনের সেনা সরানোর বার্তা বারবার দিয়েছে ভারত। যাতে সীমান্তে শান্তি রক্ষিত হয়। তবে সেই বার্তায় কার্যত কর্ণপাত করেনি চিন। আর সেই প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে এদিনের বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন, রাস্তা রোখা, বাণিজ্যে ব্যাগাত ও সন্ত্রাসের মতো সমস্যা কাটাতে পারলেই দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি নেমে আসবে।
শ্রীলঙ্কা, ভুটানকে আর্থিক সাহায্য
এদিন ভারত জানায়, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখতে সবসম য়ই বদ্ধপরিকর দেশ। তাই সেই মর্মে সোয়াপ সাপোর্ট হিসাবে মালদ্বীপকে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে ভারত, শ্রীলঙ্কাকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন জলার ও ভুটানকে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছে ভারত।
সার্ক সামিট ও ভারত-পাক সংঘাত
কাশ্মীরের উরিতে সেনা ছাউনিতে হামলার পর সার্কের সামিট বন্ধ হয় ২০১৬ সালে। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের প্রতিবাদ করে ভারত এই সামিট থেকে বেরিয়ে যায়। একইভাবে পাকিস্তানের ওপর সন্ত্রাস ইস্য়ুতে চাপ তৈরি করতে গিয়ে বাংলাদেশ, ভুচান , আফগানিস্তানও সামিট ছেড়ে বেরিয়ে যায়। এরপর কোভিড পরিস্থিতিতে এই বৈঠক শুরু হয়। সেই বৈঠকে মোদীর অতিমারী রুখতে একটি ফান্ড গঠনের বার্তা দেন। যদিও ভারতের এই প্রস্তাবে সেবার সায় দেয়নি পাকিস্তান।