তেলেঙ্গনার তরুণীর শীঘ্রই বিচার পাওয়া উচিত, দাবি নির্ভয়ার মা আশা দেবীর
তেলেঙ্গনার তরুণীর শীঘ্রই বিচার পাওয়া উচিত, দাবি নির্ভয়ার মা আশা দেবীর
২০১২ সালে দিল্লির চলন্ত গাড়িতে নির্মমভাবে গণধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল ডাক্তারির পড়ুয়াকে। এ বছর হায়দরাবাদে মহিলা পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। দুই ক্ষেত্রেই মায়ের কোল ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। তাঁদের সন্তানরা যে কষ্ট পেয়ে মারা গিয়েছে, সেই একই কষ্ট অভিযুক্তদের চোখেমুখে দেখতে চান তাঁরা। হায়দরাবাদের সেই মৃত তরুণীর মায়ের দুঃখ যেন তিনি অনুভব করতে পারছেন। নির্ভয়ার মা আশা দেবী জানিয়েছেন, শীঘ্রই বিচার পাওয়া উচিত।
এক সাক্ষাতকারে আশা দেবী জানান, তেলেঙ্গনার মহিলা যে কষ্ট পেয়েছে তা বর্বরোচিত। নিজের মেয়েও গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল এবং জীবনের সঙ্গে লড়াই করার পর মারা যায়। মেয়ের জন্য বিচার পেতে আশা দেবীর সাত বছর সময় লেগেছিল। মধ্য–কুড়ির তেলেঙ্গনার তরুণীর বিচার শীঘ্রই পাওয়া উচিত বলে মনে করেন আশা দেবী। তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এই মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য তা ফার্স্ট–ট্র্যাক আদালতে শুনানির নির্দেশ দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন যে আক্রান্তের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
অন্যদিকে, ২০১২ সালে নির্ভয়া গণধর্ষণের এক সাজাপ্রাপ্ত আসামী ক্ষমা প্রার্থনা চেয়ে দিল্লি সরকারকে আবেদন করে। কিন্তু সরকার তার আবেদন খারিজ করে দেয়। আশা দেবী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং তিনি আশাবাদী যে দোষীদের শীঘ্রই ফাঁসির সাজা হবে। প্যারামেডিক্যালের পড়ুয়াকে ২০১২ ১৬ এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যরাতে চলন্ত গাড়িতে ছয়জন মিলে ধর্ষণ করে। পৈশাচিক অত্যাচারের পর তাঁকে বাস থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়। আপ্রাণ লড়াইয়ের পর ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁকে দিল্লি থেকে বিমানে করে সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
'বুলবুলে' ক্ষতিগ্রস্ত বাংলা! কেন্দ্রের থেকে এখনও মেলেনি আর্থিক সাহায্য, অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর