'টুইট-ফাইট' তেজপাল কন্যার, বাবার পক্ষে সুর চড়ালেন টুইটারে
তেজপাল শিবিররে বক্তব্য সিসিটিভির ফুটেজে যা দেখা গিয়েছে তা ওই মহিলা সাংবাদিকের বয়ানের সঙ্গে মিলছে না। অভিযোগ,গত বছর নভেম্বর মাসে পর পর দুদিন রাতে এলিভেটরের মধ্যে ওই মহিলা সাংবাদিকের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন তেজপাল। যৌন হেনস্থা করা হয় ওই সাংবাদিককে। যদিও হোটেলে এলিভেটরের বাইরের ফুটেজ থাকলেও এলিভেটরের ভিতরে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় কোনও ফুটেজ মেলেনি।
ওই সাংবাদিক প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার কাছে একটি অভিযোগ জানায় যে, ওই সিসিটিভির ফুটেজ সবাইকে দেখিয়ে তাঁকে কলুষিত করার জন্য প্রচার চালাচ্ছে একদল। আদতে ওই ফুটেজ সরকারি পক্ষ ও আসামী পক্ষের উকিল ছাড়া কাউকে দেখানো আইনত সঠিক নয়। এদিন এই মহিলা সাংবাদিককে আক্রমণ করে একের পর এক টুইট পোস্ট করতে থাকেন টিয়া।
তরুণ তেজপাল সম্পর্কে ওই মহিলা যা যা বলেছেন তা সত্যি নয় : অনুরাগ কাশ্যপ
টিয়া টুইটে বলেন, ও সত্যি কথা বলেছে তো ও ধর্ষক হয়ে গেল। সীমা মুস্তাফা বা মনু জোসেফ বা অনুরাগ কাশ্যপ যেই এই বিষয়ে মত প্রকাশ করবে তারই যেন আপাতদৃষ্টিতে কোনও কৌশল আছে। বাহ!
এই ঘটনার একদিন আগে তেজপালের হয়ে ব্যাট করতে নামে ফিল্ম নির্মাতা অনুরাগ কাশ্যপ। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অনুরাগ পোস্ট করে জানান, আমিও সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছি। তরুণ তেজপাল সম্পর্কে ওই মহিলা যা যা বলেছেন তা সত্যি নয়।
আউটলুক ম্যাগাজিনে মনু জোসেফের একটি প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ওই তরুণীর শরীরী ভাষা দেখে কোনও যৌন শক্তিশালী কথপোকথনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি...হাতে হাতে রেখে তারা হাটেনি। তেজপাল আগে আগে যাচ্ছিলেন। তাঁকে অনপসরণ করে পিছন পিছন যাচ্ছিলেন ওই মহিলা।
যদিও আদালত ওই সিসিটিভি ফুটেজকে প্রমাণ হিসাবে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। গত বছর জিসেম্বর মাস থেকে জেলে রয়েছেন তেজপাল।
১৪ মার্চ বম্বে হাই কোর্টের গোয়া বেঞ্চ তেজপালে জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। সিসিটিভি ফুটেজে এলিভেটরের ভিতরের অংশ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্দোষ বলেও প্রমাণ হচ্ছে না।