টাকা আর বাহুবলী দিয়ে থামানো যাবে না, মোদী-নীতীশকে নিশানা করে হুঙ্কার তেজস্বীর
টাকা আর বাহুবলী দিয়ে থামানো যাবে না, মোদী-নীতীশকে নিশানা করে হুঙ্কার তেজস্বীর
নীতীশ যতই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে দৌড় ঝাঁপ করুন বিহারের জনতে বুঝিয়ে দিয়েছেন আসলে তাঁরা কাকে চান। টাকা এবং বাহুবল দিয়ে নীতীশ কুমার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তেজস্বীকে দমিয়ে রাখতে পারবে না বলে হুঙ্কার দিয়েছেন আরজেডি নেতা। সেকারণেই একা আরজেডিই হয়েছে একক বৃহত্তম দল। যদিও ১৬ তারিখ নীতীশ কুমারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার কথা।
নীতীশকে আক্রমণ তেজস্বীর
নোট আর বাহুবলী জোটে বিহার জয় করেছেন নীতীশ কুমার এবং নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু আমজনতার মন জয় করতে পারেননি। টাকা আর ভয় দেখিয়ে তেজস্বীর গতি রুদ্ধ করা যাবে না সরাসরি হুঙ্কার দিয়েছেন বিহারের একক বৃহত্তম দল আরজেডির নেতা তেজস্বী যাদব। তিনি হুঙ্কার দিয়েছেন কোনও ভাবেই আরজেডিকে থামাতে পারবে না এনডিএ।
সরকার গড়বে মহাজোটই
নীতীশে আস্থা নেই বিহারবাসীর। সরকার গড়বে মহাজোটই। সমর্থকদের বার্তা দিয়েছেন তেজস্বী যাদব। একক বৃহত্তম দল হিসেবে বিহারের মানুষ আরজেডিকেই নির্বাচিত করেছেন। কিন্তু বিজেপির ভোটের জোরে এনডিএ সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন আর ফের একবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন নীতীশ কুমার। ১৬ তারিখ মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিতে চলেছেন তিনি।
গণনায় কারচুপি
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বিহারে। কোনও কেন্দ্রেই মহাজোটের প্রার্থীদের সঙ্গে এনডিএ জোটের প্রার্থীদের ভোটের ব্যবধান ১০০ থেকে ১০০০- র মধ্যে রয়ে গিয়েছে। কোথাও আবার জেডিইউৃর সঙ্গে আরজেডির ভোটের ব্যবধান ২০-র থেকেও কম ছিল। গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে গণনা। বিজেপি এবং নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে গণনায় প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেছে আরজেডি ও বিজেপি।
সাইলেন্ট ভোটারের ক্যারিশ্মা
সব এক্সিট পোল এবার ফেল করে গিয়েছে বিহারে। সাইলেন্ট ভোটারের ক্যারিশ্মাতেই এনডিএর এই জয় বলে মনে করা হচ্ছে। এই সাইলেন্ট ভোটাররা হলেন রাজ্যের মহিলারা। তাঁরাই চুপচাপ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। তাতেই ভোট ব্যাঙ্ক ভারি হয়েছে বিজেপির। এনডিএ-কে জিতিয়েও নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী পদে চাইছেন না কেউ।
'বিহারে বামেরা আরও আসনে লড়লে মহাজোটই সরকার গড়ত', মুখ খুললেন ইয়েচুরি