কুর্তা-পাজামা পরে স্কুলে প্রধান শিক্ষক, তিরস্কার করে বরখাস্তের হুমকি ম্যাজিস্ট্রেটের
Array
ফের স্কুলে পোশাক বিতর্কের খবর সামনে এল। তবে এবার কোনও শিক্ষিকা নয়, যাকে নিয়ে এই বিতর্ক তিনি একজন শিক্ষক। তিনি কেন স্কুলে কুর্তা-পাজামা পড়ে এসেছেন তা নিয়ে ডিসট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে রীতিমত তিরস্কার করলেন। তাঁর বেতন কেটে নেওয়ার কথা বলে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরে।
কর্মক্ষেত্রে 'কুর্তা-পাজামা' পরার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তিরস্কার করলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষককে। ওই শিক্ষককে ডিএমের তিরস্কার করার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন যে, স্কুলে কী কুর্তা পাজামা পড়ে যাওয়া কোনও খারাপ পোশাকের বার্তা দেয়?
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বিহারের লক্ষ্মীসরাই জেলার ডিএম সঞ্জয় কুমার সিং গার্লস প্রাইমারি স্কুল বালগুদারের প্রধান শিক্ষককে কুর্তা পাজামা পরার জন্য ব্যাপকভাবে তিরস্কার করছেন এবং তাকে বলছেন যে তিনি তাঁকে শিক্ষক নয় , রাজনীতিবিদ বলে মনে করা হচ্ছে।
ভিডিওতে, ডিএমকে শিক্ষকের পোশাক নিয়ে প্রশ্ন করতে এবং বলতে শোনা যায়: "আপনাকে কি একজন শিক্ষকের মতো দেখতে লাগছে? আপনাকে মনে হচ্ছে যেন আপনি কোনও দলের নেতা।" ঘটনার সময় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সরকারের নির্দেশে পরিদর্শনের জন্য স্কুলে ছিলেন। ডিএম যখন স্কুলে পৌঁছেছিলেন, তখন তিনি প্রধান শিক্ষকের পোশাকের দেখে বিরক্ত হয়ে যান এবং এর জন্য তাকে তিরস্কার করেন। একটি স্থানীয় সংবাদ চ্যানেলের ভিডিওতে প্রধান শিক্ষক নির্ভয় কুমার সিংকে সাদা কুর্তা পায়জামা পরা অবস্থায় দেখা যায়।
ডিএম সিংও স্কুলের কার্যপ্রণালী নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ভিডিওতে তাকে ঘটনাস্থলে শিক্ষা কর্মকর্তাকে ডেকে প্রধান শিক্ষকের সাময়িক বরখাস্তের আবেদন করতে দেখা গিয়েছে। তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বেতন কাটার নির্দেশ দেন এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
দক্ষিণ ভারতেও সম্প্রতি বিরাট আকার ধারণ করেছিল পোশাক বিতর্ক। স্কুলে ধর্মীয় কোনও পোশাক পড়া যাবে কি না তা নিয়ে বিশাল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কর্ণাটকের উদুপি শহরে ৬ ছাত্রীর সঙ্গে প্রথমে এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল। হিজাব পরায় তাঁদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি শিক্ষাঙ্গনে। আর তার জেরে ব্যাপক বিতর্কের সূত্রপাত হয়। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও এই বিতর্কের রেশ পৌঁছে যায়। পরে পড়ুয়ারা এই ইস্যু নিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। স্পেশাল বেঞ্চ বসিয়ে হয় সেই মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্তীর ডিভিশন বেঞ্চ বেশ কয়েকদিন ধরে মামলাকারী ও সরকার পক্ষের কথা শোনে। পরে আদালতের তরফে বলা হয়, হিজাব পরা ইসলামে বাধ্যতামূলক নয়। এই বলে মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়। আর এবার ফের একবার সামনে এল সেই একই অভিযোগ।