জোর করে ধর্মান্তর, হেনস্থা, আত্মঘাতী তামিলনাড়ুর পড়ুয়া, গ্রেফতার হস্টেল ওয়ার্ডেন
আত্মঘাতী তামিলনাড়ুর পড়ুয়া
জোর করে খ্রীষ্টান ধর্মে ধর্মান্তর করার জন্য তামিলনাড়ুতে আত্মঘাতী হল এক দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া লাবণ্য। জানা গিয়েছে লাবণ্য থাঞ্জাভুরের বাসিন্দা। জোর করে তাকে ধর্মান্তর করার জন্য সে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। তাকে থাঞ্জাভুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসায় কোনও সাড়া দেয় না এবং বুধবার মৃত্যু হয় তার।
১৭ বছরের লাবণ্য থাঞ্জাভুরের সেন্ট মাইকেল গার্লস হোমে বোডিংয়ে থাকতেন। সম্প্রতি একটি ভিডিও সামনে এসেছে যেখানে লাবণ্য স্বীকার করেছে যে হোস্টেল ওয়ার্ডেন তাকে ক্রমাগত বকাঝকা করতেন এবং তাকে দিয়ে হোস্টেলের সব ঘর পরিস্কার করানো হত। দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ার এও অভিযোগ যে তাকে ক্রমাগত খ্রীষ্টান ধর্ম গ্রহণ করার জন্য চাপ দেওয়া হত। এই ধরনের ঘটনা অনবরত তার সঙ্গে হওয়ার জন্য সে খুব বিব্রত থাকত সবসময়। এরপরই নিজের জীবন শেষ করার উদ্দেশ্যে লাবণ্য কীটনাশক খেয়ে ফেলে।
বারবার গান্ধীজী নিয়ে কু-কথা, গ্রেফতার ধর্মীয় চরমপন্থী নেতা
লাবণ্যর বাবা মুরুগুনন্দম, যিনি আরিয়ালুরের বাসিন্দা, তাঁকে ১০ জানুয়ারি জানানো হয় যে তাঁর মেয়ে ৯ জানুয়ারি বমি করার পর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। হস্টেলের পক্ষ থেকে লাবণ্যর বাবাকে এও বলা হয় যে তাঁর মেয়ের একাধিকবার পেটে ব্যথা হচ্ছিল। এরপর মুরুগুনন্দম লাবণ্যকে তাঞ্জোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। যখন তার জ্ঞান ফিরে আসে তখন সে চিকিৎসকদের মৌখিকভাবে তার আত্মহত্যার চেষ্টার কথা জানায়। এরপরই চিকিৎলকরা তিরুকাট্টুপল্লীর পুলিশকে গোটা ঘটনাটি জানায়। পুলিশ এসে লাবণ্যকে হাসপাতালে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পারে যে বোর্ডিং স্কুলের ওয়ার্ডেন লাবণ্যকে হেনস্থা করেছে এবং জোর করে খ্রীষ্ট ধর্ম গ্রহণ করিয়েছে। লাবণ্যর বাড়ির লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওয়ার্ডেন সাক্যমারিকে (৬২) গ্রেফতার করে। ১৯ জানুয়ারি বুধবার রাতে মৃত্যু হয় লাবণ্যর। এর আগেই সে চিকিৎসায় সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তিরুকাট্টুপল্লি এলাকায়।