‘পাক চুক্তি স্বাক্ষর করে দেশকে অপমান করেছিলেন’, মনমোহন সিংহের সমালোচনা তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের
‘পাক চুক্তি স্বাক্ষর করে দেশকে অপমান করেছিলেন’, মনমোহন সিংহের সমালোচনা তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের
ভারতের বর্তমানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বর্তমানে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। যার ফলে দেশের সন্ত্রাসী হামলা অনেকটা কমে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবি। তিনি ২০০৮ সালে ২৬/১১ হামলার কয়েক মাসে আগে সন্ত্রাসবাদ দমন ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের একটি চুক্তি উল্লেখ করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে মনমোহন সিং দেশের অপমান করেছিলেন।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সমালোচনা
কোচিতে আভ্যান্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক একটি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবি। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের ২৬/১১ হামলা সারা ভারতকে স্বব্ধ করে দিয়েছিল। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে তুলেছিল। পাকিস্তানের জঙ্গিরা মুম্বইয়ের মতো শহরে এসে কীভাবে হামলা করতে পারে, সেই বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু এই হামলার প্রায় নয় মাস আগে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির বিষয় ছিল, ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই জঙ্গি হামলার শিকার। কোনও চুক্তি করার আগে আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত, আমরা মিত্র শক্তির সঙ্গে চুক্তি করছি কি না। তিনি অভিযোগ করেন, ইউপিএর শাসন কালে একাধিকবার দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব দিতে হয়
তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল জানান, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে, কঠোর অবস্থান নিতে হবে, তেমনি উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। না হলে সন্ত্রাসবাদ দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বার বার আঘাত করে দুর্বল করে দেবে। এই প্রসঙ্গে তিনি সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, পুলওয়ামা হামলার জেরে প্রায় ৪০ জন সিআরপিএফের জওয়ানের মৃত্যু হয়। কিন্তু সরকার মুখ বুজে সহ্য করেনি। তিনি মন্তব্য করেন, পাকিস্তানে সার্জিক্যাল অ্যাটাক করে। সার্জিক্যাল অ্যাটাকের মাধ্যমে ভারত শুধু বার্তা দিতে চেয়েছিল, যদি সন্ত্রাসী হামলাকে মদত দেওয়া হয়, তাহলে তার ফল ভোগ করতে হবে।
কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণে সন্ত্রাসী হামলা
এনআর রবি বলেন, বর্তমানে কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধেও সরকার শূন্য সহনশীলতা নীতি গ্রহণ করেছে। সন্ত্রাসবাদ দমনের একমাত্র রাস্তা বন্দুকের নল। এই নীতিতে কাশ্মীরে হিংসা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কাশ্মীরের মানুষ প্রশাসনকে সাহায্য করতে শুরু করেছে। তারা আর সন্ত্রাবাদকে মদত দেন না। বরং তাঁরা সুস্থ স্বাভাবিক জীবন-যাপনে বেশি আগ্রহী হয়ে পড়েছেন।
শক্তি ক্ষয় মাওবাদীদের
বর্তমানে মাওবাদীদেরা শক্তি অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। ভারতের ১৮৫ টির বেশি জেলায় মাওবাদী সক্রিয় ছিল। সাধারণ মানুষ মাও এলাকাগুলোকে রেড করিডর বলতে শুরু করেছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ। ভারতে মোট ৪টি জেলাতে বর্তমানে মাওবাদী সক্রিয়। এই সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি মন্তব্য করেন, দেশের অখণ্ডতা ও ঐক্যের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে, তাদের সঙ্গে আলোচনা নয়। গত আট বছরে কোনও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে পুনর্বাসন বা অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হয়নি সরকারের। শুধু আত্মসমর্পণ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন ২০২২, একাদশতম দিন: লোকসভায় কাটল অচলাবস্থা, রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি