একনজরে বাজেট সংক্রান্ত আর্থিক পরিভাষা গুলি সম্পর্কে জেনে নিন
এক নজরে বাজেট সংক্রান্ত আর্থিক পরিভাষা গুলি সম্পর্কে জেনে নিন
একদিকে যেখানে দেশ জুড়ে চলছে তীব্র আর্থিক মন্দা, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কলকারখানায় উৎপাদন ও বাজারের কেনাবেচাও যথেষ্ট নিম্নমুখী। অন্যদিকে লাফিয়ে বাড়ছে একাধিক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবার দাম। অর্থনীতির এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে সকলের চোখ এখন ১লা ফেব্রুয়ারির দিকে। ওইদিন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের হাত ধরে পেশ হতে চলেছে চলতি অর্থবছরের কেন্দ্রীয় বাজেট।
বাজেটের দিন আমরা যে অর্থ বিষয়ক শব্দবন্ধ গুলি শুনতে পাই তা আদপে আমরা আমাদের প্রাত্যহিক কথোপকথনে ব্যবহার করি না। আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বাজেট সম্পর্কিত বেশ কিছু আর্থিক পরিভাষা।
অর্থবছর
সরকারি অ্যাকাউন্টিং এবং বাজেটের উদ্দেশ্যে সরকারের দ্বারা ব্যবহৃত সময়কালকে অর্থবছর বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ভারত এবং জাপানের জন্য প্রতি বছর নতুন আর্থিক ক্যালেন্ডার শুরু হয় ১লা এপ্রিল থেকে পরের বছর ৩১শে মার্চ পর্যন্ত। অস্ট্রেলিয়ার জন্য এই অর্থ বছর আবার ১লা জুলাই থেকে শুরু হয়ে ৩০শে জুন শেষ হয়।
বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি
এটিকেই আমরা সাধারণত 'ইউনিয়ন বাজেট' বলে থাকি। এর মাধ্যমে ভারতীয় সংবিধানের ১১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিগত আর্থিক সময়কালে সরকারের আয়-ব্যায়ের একটি বিশদ বিবরণ পেশ করা সংসদে।
আর্থিক বিল
কেন্দ্রীয় বাজেটে সংসদে উপস্থাপিত দুটি বিলের একটি হলো ফিনান্স বিল এবং অপরটি বরাদ্দ বিল। ফিনান্স বিলের মাধ্যমে মূলত নতুন শুল্ক আদায়ের সংক্রান্ত বিষয়ের পাশাপাশি কোনও বিদ্যমান কর বা সংশোধিত করের প্রস্তাব পেশ করা হয়।
বরাদ্দ বিল
এই বিলের মাধ্যমেই সরকারি তহবিলে যাবতীয় অনুমোদন দেয় সরকার। লোকসভাতেই মূলত এই বিল পেশ হয়। যে কোনও আর্থিক বছরে সরকারি ব্যয় মেটাতেই এই বিলটি ব্যবহার করা হয়।
পাবলিক অ্যাকাউন্ট
এতে সরকারের সকল লেনদেনের তহবিল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যেখানে সরকার ব্যাংকারের মতো কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ, প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ছোট সঞ্চয়ের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে ব্যয়ের জন্য সরকারের কাছ থেকে আগাম কোনও অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। কারণ এগুলি মূলত জনগণের দ্বারা তৈরি আমানত তাই যে কোনও সময়ে সরকার আমানতকারীদের এই টাকা ফিরিয়ে দিতে দায়বদ্ধ।
কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২০: সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা কী মোদীর কাছে