দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের মূলে ছিল তবলিঘি জামাত? অভিযুক্ত বিদেশিদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ
এর আগে তবলিঘি জামাতের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছিল যে জামাতের ২ হাজার ৫৫০ জন বিদেশি সদস্যকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। কালো তালিকায় থাকা জামাত সদস্যরা আগামী ১০ বছরের জন্য ভারতে ঢুকতে পারবেন না।
করোনা ছড়ানোর মূলে তবলিঘি
মোদী সরকারের শুরু থেকেই অভিযোগ, দেশে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের অন্যতম কারণ তবলিঘি জামাতের ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এমনকি কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে জামাত সদস্যদের বিরুদ্ধে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে ধর্মীয় সংগঠনটি।
তবলিঘিদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ?
এরপই নিজামউদ্দিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বিদেশিদের মনে ভয় জন্মায়, যে তাদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা বা সরাসরি খুনের মামলা রুজু হতে পারে। তবে তাদের স্বস্তি দিয়ে দিল্লি পুলিশ জানিয়ে দিল যে কোনও বিদেশির বিরুদ্ধেই সেরম কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। তবে ভিসার নিয়ম উলঙ্ঘন ও করোনা নীতি উলঙ্ঘনের আওতায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
১৩ই মার্চ দিল্লির নিজামউদ্দিনে ধর্মীয় অনুষ্ঠান
দেশে করোনা আবহের মধ্যেই, ১৩ই মার্চ দিল্লির নিজামউদ্দিন এলাকায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তবলিঘি জামাত। যার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন জামাত প্রধান মৌলানা মহম্মদ সাদ কান্দিলভি। নিজামউদ্দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ৯ হাজার তবলিঘি সদস্য অংশ নেন। যার একটা বড় অংশই বিদেশি নাগরিক।
অনুষ্ঠানের পরই ছড়িয়ে পড়ে করোনা
অনুষ্ঠানের পর অনেকেই দিল্লি থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন। কিন্তু দেশে যখন প্রথম দফার লকডাউন চলছে, তখনও নিজামউদ্দিন ও আশেপাশের এলাকায় প্রায় ২ হাজার ৩০০ জামাত সদস্য ছিলেন। তাঁদের সরিয়ে এলাকা খালি করতে, আসরে নামতে হয় খোদ জাতীয় নিরাপত্তা উপেদেষ্টা অজিত ডোভালকে।
জিনপিংকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক! মানবাধিকার নিয়ে চিনের উপর চাপ সৃষ্টি রাষ্ট্রসংঘে