জ্ঞানব্যাপী মসজিদে স্বস্তিক চিহ্নের খোঁজ, মুসলিমদের বিক্ষোভে বন্ধ ভিডিওগ্রাফি অনুশীলন
, মুসলিমদের বিক্ষোভে বন্ধ ভিডিওগ্রাফি অনুশীলন
অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি হচ্ছে৷ কিছুটা হলেও অযোধ্যা ইস্যুর সমাধান হয়েছে৷ এবার নতুন করে বিতর্ক ও উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে বারাণসীর কাশী-বিশ্বনাথ মন্দির সংলগ্ন জ্ঞানব্যাপী মসজিদকে নিয়ে৷ অনেকেই দাবি করছেন এই মসজিদটিও হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে! সম্প্রতি বারাণসী আদালতের রায়ে ভিডিগ্রাফ চলছিল জ্ঞানব্যাপী মসজিদের৷ এবার সেই ভিডিওগ্রাফির সময়েই মসজিদের দেওয়া পুরনো সময়ে আঁকা দুটি স্বস্তিক চিহ্নের খোঁজ পেয়েছে আদালত, সংবাদমাধ্যমকে কমিশনার দলের ভিডিওগ্রাফাররা এ ব্যাপারে জানিয়েছেন৷ যদিও এরপর স্থানীয় মুসলিমদের বিক্ষোভে মসজিদে ঢুকতে পারেননি তাঁরা।
কী নিয়ে বিতর্ক!
শনিবার জ্ঞানব্যাপী মসজিদে জরিপ ও ভিডিওগ্রাফি অনুশীলন চালানোর সময় দুটি প্রাচীন সময়ে আঁকা স্বস্তিকের চিহ্ন দেখা গিয়েছে। এরপরই শনিবার বিক্ষোভের মধ্যে প্রশাসনের দ্বারা অনুশীলনটি বন্ধ করা হলেও, কোর্ট কমিশনারের দলের ভিডিওগ্রাফাররা পরে একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে পরে বলেছেন যে তারা জরিপ পরিচালনা করার সময় মসজিদের বাইরে দেওয়ালে দুটি বিবর্ণ কিন্তু সুস্পষ্ট স্বস্তিকা দেখতে পেয়েছেন৷ স্বস্তিগুলি সম্ভবত প্রাচীনকালে আঁকা হয়েছিল! এরপরই মুসলিম পুরুষদের বিক্ষোভের কারণে আইনজীবীদের দল মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করতে না পেরে কাজ বন্ধ করে ফিরে যান। শনিবার জ্ঞানব্যাপী মসজিদের বাইরে কিছু এলাকায়ও ভিডিওগ্রাফি এবং জরিপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
জ্ঞানব্যাপী মসজিদ এলাকায় রয়েছে ভারি পুলিশ!
শুক্রবার বারাণসীর একটি আদালত জ্ঞানব্যাপী মসজিদে ভিডিওগ্রাফি চালিয়ে এবং জ্ঞানব্যাপী মসজিদের বাইরের অঞ্চলগুলির সমীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। শুক্রবার আদালতের পক্ষ থেকে আইনজীবীদের একটি দল এলাকার পরিদর্শন করার পরে এলাকায় ভারী পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে!
পুজোর করার অনুমতি চেয়ে কোর্টের দ্বারস্থ রেখারা!
দিল্লির বাসিন্দা রাখি সিং, লক্ষ্মী দেবী, সীতা সাহু এবং অন্যান্যরা জ্ঞানব্যাপী ও তার আশেপাশে থাকা হিন্দু দেবদেবীর ছবি ও মূর্তি পূজা করার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদনের পরে বারাণসী জেলা আদালতের আদেশে এই সমীক্ষা শুরু হয়েছে। এবং এরপরই জ্ঞানব্যাপী মসজিদের বাইরের দেওয়ালে মূর্তি ও স্বস্তিকের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে!
কী বলছেন পিটিশনকারীরা?
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়, পিটিশনকারীদের আইনজীবী সুভাষ নন্দন চতুর্বেদী বলেছেন যে মসজিদ পরিচালনা কমিটির তত্ত্বাবধানের জন্য আলাদা কোর্ট কমিশনার নিয়োগ হতে পারে৷ এবং এ বিষয়ে জেলা আদালত শুনানি ও আদেশ না আসা পর্যন্ত মসজিদের আর কোনও জরিপ হবে না। চতুর্বেদী আরও জানিয়েছেন যে শনিবার, আইনজীবী এবং ভিডিওগ্রাফারদের দল জ্ঞানব্যাপী পৌঁছলে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রায় শতাধিক লোক মসজিদটি ঘিরে রাখে যার কারণে তারা জরিপ পরিচালনা করতে পারেনি।
সংবাদমাধ্যমকে কি বললেন রেখা?
পিটিশনারদের মধ্যে একজন, রেখা পাঠক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে, মসজিদ প্রশাসন এবং মুসলিম পুরুষদের একটি দল ভিডিওগ্রাফি দলকে মসজিদ এলাকায় প্রবেশ করতে নিষেধ করেছিল, ফলস্বরূপ শনিবার জরিপ ও ভিডিওগ্রাফি করা যায়নি। আদালত ৯মে এই বিষয়ে শুনানি করবে এবং সে সময় তাঁরা (রেখা পাঠক সহ অন্যান্য পিটিশনাররা) জ্ঞানব্যাপী মসজিদের ভিডিওগ্রাফি এবং জরিপ চালানোর জন্য সুনির্দিষ্ট