তালিবান বনাম বিরোধী ফোর্সের সংঘাতের মাঝেই দিল্লি পৌঁছল 'গুরুগ্রন্থ সাহিব' এর স্বরূপ, বিমানবন্দরে হরদীপ পুরী
আফগানিস্তানের আন্দারাবে এই মুহূর্তে চরম সংঘাত। তালিবান ও তালিবান বিরোধী ফোর্সের মধ্যে সেখানে জমি দখলের লড়াই অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের পাঞ্জশির চারিদিক থেকে তালিবান বিরোধীদের ঘিরে ফেলেছে তালিবানরা। এমনই খবর উঠে আসছে আফগান মুলুক থেকে। সেই জায়গা থেকে করুণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আফগানিস্তানে। কার্যত অরাজক অবস্থার মধ্যে থেকেই বহু ভারতীয়কে আফগানিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে দেশে। এমন অবস্থায় ভারতে পৌঁছে গেল আফগানিস্তান থেকে ৩ টি 'গুরুগ্রন্থ সাহিব' এর স্বরূপ। যা দিল্লি বিমানবন্দর থেকে মাথায় করে নিয়ে এলেন হরদীপ সিং পুরী।
আফগান মুলুকে কী ঘটছে?
আফগানিস্তানে তিনটি জেলাকে ফের একবার পুনরুদ্ধার করে নিয়েছে তালিবানরা। তালিবানি শাসকদের তরফে জানানো হয়েছিল যে তিনটি জেলা তালিবান বিরোধী নর্দান অ্যালায়েন্স দখলে রেখেছিল তা তাদের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে বলে খবর। এদিকে, ৫০ জন তালিবানি নেতা নর্দান অ্যালায়েন্সের সঙ্গে সংঘাতের হাত ধরে খুন করে হয়েছে বলে খবর। তালিবান ও বিরোধী জোটের সংঘাতের মধ্যে ২০ জন তালিবানকে আটক করে বন্দি করা হয়েছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ফিরল 'গুরুগ্রন্থ সাহিব' এর স্বরূপ
এদিকে, এরই মাঝে তালিবানি দখলে থাকা আফগানিস্তান থেকে দেশে ফিরলেন ৪৪ জন আফগান শিখ। আফগানিস্তান থেকে ফিরে আসার সময় , তাঁরা সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন পবিত্র 'গুরুগ্রন্থ সাহিব'এর স্বরূপ। এদিন দিল্লি বিমানবন্দরে সেই গুরু গ্রন্থ সাহিবের স্বরূপ বিমানবন্দর থেকে মাথায় করে নিয়ে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।
মার্কিন মুলুককে হুঁশিয়ারি তালিবানের
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সাফ ভাষায় ,হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে তালিবান। এই মাসের শেষ অর্খাৎ ৩১ অগাস্টের মধ্যে যদি তালিবানের শাসনে থাকা আফগানিস্তান ছেড়ে আমেরিকার সৈন্যরা বেরিয়া না যান, তাহলে তার চরম পরিণতি তে ভুগতে হবে মার্কিনিদের। এদিকে, কাবুল বিমানবন্দর আপাতত মার্কিনি কবজায়। সেখানে সেভাবে প্রভাব খাটাতে পারছে না কোনও তালিবানি। এদিকে, সেই বিমানবন্দর দিয়েই লাখ লাখ আফগান নিরাপদে দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারছেন। যা কার্যত ভালোভাবে নিচ্ছে না তালিবানরা। এরই মাঝে পেন্টাগন সাফ জানিয়েছে , আফগানিস্তান থেকে কার্যত দ্রুত উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করাই তাদের লক্ষ্য।
পাঞ্জশির কার্যত ঢাল
এদিকে কার্যত সারা আফগানিস্তানের মধ্যে চিরাচরিত পথেই তালিবান সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে পাঞ্জশির থেকে। পারস্যের ভাষায় পাঞ্জশির মানে পাঁচ সিংহের এলকা। সেই এলাকায় এককালে তালিবান বিরোধী ফোর্স হিসাবে উঠে আসেন আহমেদ শাহ মাসুদ। তাঁকে বহু আগে আল কায়দা খুন করার পর এবার তাঁর ছেলে আহমেদ মাসুদ সেই জায়গায় এসেছেন। এবার তাঁর নেতৃত্বেই তালিবানকে যোগ্য জবাব দেওয়ার চেষ্টায় ব্রতী তালিবান বিরোধী ফোর্স।