স্বামীজির দৃষ্টিভঙ্গী উপলব্ধি করতে হবে, বিক্ষোভের মাঝে জেএনইউতে বিবেকানন্দের মূর্তি উন্মোচন মোদীর
স্বামীজির দৃষ্টিভঙ্গী উপলব্ধি করতে হবে, বিক্ষোভের মাঝে জেএনইউতে বিবেকানন্দের মূর্তি উন্মোচন মোদীর
'ভারতের প্রতি স্বামী বিবেকানন্দের দৃষ্টিভঙ্গী উপলব্ধি করা আমাদের দায়িত্ব’। বৃহস্পতিবার জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উন্মোচন করার পর এই বক্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সদ্য বিহারের জয় তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন মোদী, তারই মাঝে স্বামী বিবেকানন্দের মর্মর মূর্তি উদ্বোধন করলেম প্রধানমন্ত্রী।
মোদীর দৃষ্টিতে স্বামী বিবেকানন্দ
এই অনুষ্ঠানে মোদী তাঁর ভাষণে বলেন, ‘আমরা যখন ঔপনিবেশিক যুগে নিপীড়িত হচ্ছিলাম, তখন শেষ শতাব্দীর প্রথমাংশে স্বামীজি মিচিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন এবং সেখানে গিয়ে তিনি বলেছিলেন যে এই শতাব্দীটি আপনাদের হলেও, পরবর্তী শতাব্দী ভারতের হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব যে এই বিবৃতির দৃষ্টিভঙ্গীকে উপলব্ধি করা।' মোদী আরও জানান যে স্বামী বিবেকানন্দ যেমনটা সকলের মধ্যে দেখতে চেয়েছিলেন তেমনই এই মূর্তিও সেরকম সাহস ও উদারতা সঞ্চার করবে বলে তিনি আশা রাখেন।
জাতীয় শিক্ষা নীতি প্রসঙ্গ
মোদী ভারতের জাতীয় শিক্ষা নীতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘স্বামী বিবেকানন্দ চেয়েছিলেন যে দেশে শিক্ষাব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত যাতে এটি ব্যক্তিদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জোগায় এবং তাদেরকে সর্বাত্মকভাবে আত্মনির্ভর করে তোলে। জাতীয় শিক্ষা নীতি এই একই পথে চলছে।' তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে দেশের যুব সম্প্রদায় ব্র্যান্ড ভারতের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার। দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরছে আমাদের যুব সম্প্রদায়।'
জেএনইউএসইউ প্রতিবাদ
এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক ও জেএনইউয়ের উপাচার্য জগাদেশ কুমার। বৃহস্পতিবার এই অনুষ্ঠানের আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে উপাচার্য জানিয়েছিলেন যে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ খুব খুশি তাঁদের প্রধানমন্ত্রীর হাতে স্বামীজির মূর্তি উন্মোচন হবে। এই অনুষ্ঠান ভার্চুয়াল হওয়া সত্ত্বেও মোদীর মূর্তি উন্মোচন নিয়ে অশান্তির সৃষ্টি হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে। জেএনইউ চত্ত্বরে জেএনইউএসইউ প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। তাদের বিশ্বাস ক্যাম্পাসের ভেতর যে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল তাতে সমর্থন ছিল মোদী সরকারের এবং তা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় নীতির ওপর হামলা হয়েছে, যার ফলস্বরূপ তহবিল হ্রাস এবং শিক্ষা বেসরকারীকরণ হতে পারে।
বিতর্কিত স্বামী জির মূর্তি
প্রসঙ্গত, এই মূর্তিটি স্থাপনের আগে থেকেই বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। ২০১৮ সালে স্বামীজির মূর্তি তৈরির কাজ শুরু হলেও তা গতবছর ভাঙচুর করা হয় এবং তার আশেপাশে আপত্তিকর মন্তব্য লেখার অভিযোগও ওঠে।