বিজেপি-কে আক্রমণ করতে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙচুর জেএনইউ-তে!
জেএনইউ-তে ভাঙচুর চালানো হল স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তির উপর। ঘটনাটি বুধবার রাতের অন্ধকারে হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মূর্তি ভাঙচুর ছাড়াও মূর্তির চতুর্দিকে 'গেরুয়া', 'বিজেপি', 'জ্বলবে', 'ফ্যাসিজম নিপাত যাক'-এর মতো ইত্যাদি শব্দ লিখে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তার তদন্ত শুরু হয়েছে। স্বামীজির মূর্তিটি ইতিমধ্যেই ঢেকে ফেলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের তরফে। স্বামীজির মূর্তিটি বিশ্ববিদ্যালয়োর প্রশাসনিক ভবনের বাইরেই ছিল।
এর আগে একই রকম ঘটনা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে
কয়েক মাস আগে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের মূর্তিতে কালি লাগানোর ঘটনা ঘটেছিল। যার জেরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস, স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিং ও সাভারকরের মূর্তি সরানো হয়েছিল সেখান থেকে। সেই মূর্তিগুলি স্থাপন করেছিল এবিভিপি। তারাই মূর্তিগুলিতে কালি লাগানো হলে সেগুলি সরিয়ে দেয়।
গত কয়েক দিন ধরেই অশান্ত জেএনইউ
এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই অশান্ত হয়ে রয়েছে জেএনইউ ক্যাম্পাস। গত কয়েকদিন ধরে হোস্টেল ফি বাড়ানো নিয়ে লাগাতার ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল জেএনইউ। বুধবার দুপুরে আন্দোলনের চাপে অবশেষে পিছু হটে জওহরলাল নেহেরু বিশ্বপবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৈঠকের পরে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অংশের শিক্ষার্থীদের জন্য বর্ধিত হোস্টেল ফি আংশিক ভাবে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
ছাত্রদের দাবি মেনে নেয় কতৃপক্ষ
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চলে ছাত্র বিক্ষোভ। মঙ্গলবার জল কামান, লাঠি চার্জ করে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে সরকার। এরপর বুধবার আন্দোলন আরও তীব্রতর হলে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ক্যাম্পাসের বাইরে স্থানান্তরিত করতে হয়। এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের (ই.সি) বৈঠকে এরপর বর্ধিত হোস্টেল ফি বৃদ্ধির আংশিক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।
ঘটনার তদন্ত শুরু
মনে করা হচ্ছে সেই সিদ্ধান্তের পরই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাসে ফেরার সময় এই কাণ্ড ঘটিয়েছে দুষ্কৃতীরা। উল্লাস দেখাতে থাকা ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক জায়গাতেই গ্রাফিটি আঁকতে থাকে। তাদের মধ্যেই কেউ এই ঘটনার সঙ্গ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।