লকডাউনের জেরে অনেকটাই কমেছে আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় হাসপাতালে ভর্তির হার, বলছে সমীক্ষা
লকডাউনের জেরে অনেকটাই কমেছে আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় হাসপাতালে ভর্তির হার, বলছে সমীক্ষা
বিশ্বব্যাপী করোনা প্রাদুর্ভাবের জেরে কার্যত অনিশ্চয়তার মধ্যেই রয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্র। বেশিরভাগ হাসপাতালই জরুরী ভিত্তিতে করোনা চিকিৎসার জন্য কোভিড হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। এরমধ্যেই সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে,দেশব্যপী টানা দশ সপ্তাহ লকডাউনের জেরে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারতের প্রকল্পের আওতায় হাসপাতালে ভর্তির হার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে।
৫১% কমেছে হাসপাতালে ভর্তির হার
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, লকডাউনের জেরে আয়ুষ্মান ভারতের অন্তর্ভুক্ত কেন্দ্রের এই স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্পের আওতায় গড়ে সাপ্তাহিক হাসপাতালে ভর্তির পরিমাণ প্রায় ৫১% হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও প্রসব এবং ক্যান্সারের চিকিৎসার মত জরুরী স্বাস্থ্য পরিষেবাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত রোগীদের ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য বিনামূল্যে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাসপাতাল পরিষেবা প্রদান করা হয়, যা বর্তমানে প্রায় ৬৪% হ্রাস পেয়েছে। নর্মাল এবং সিজার উভয় প্রসবের ক্ষেত্রেই হাসপাতালে ভর্তির হার ২৬% কমেছে।
হাসপাতাল পরিষেবার অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিশু এবং বৃদ্ধদের স্বাস্থ্য
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক কর্তৃক প্রকাশিত "প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা আন্ডার লকডাউন" শীর্ষক প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে যে, হাসপাতালে ভর্তির পরিমাণ কমায় পুরুষ, মহিলাদের চেয়ে শিশু ও বৃদ্ধদের স্বাস্থ্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইন্দুভূষণ বাবু জানান, "লকডাউন চলাকালীন বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার জেরে একাধিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। ছানি, হাঁটুর প্রতিস্থাপনের মত চিকিৎসার সুযোগ পরে পাওয়া গেলেও, ক্যান্সারের চিকিৎসা বা জ্বর সহ অন্যান্য রোগের চিকিৎসার সুযোগ পরে পাওয়া যায়না।"
প্রধানমন্ত্রী আরোগ্য যোজনা প্রকল্পে বরাদ্দ বার্ষিক বাজেটের ১৫% ক্ষতির মুখে
লকডাউনের জেরে হাসপাতালে ভর্তির পরিমাণ কমায় অন্য সময়ের নিরিখে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ১০ সপ্তাহে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে যা প্রধানমন্ত্রী আরোগ্য যোজনা প্রকল্পে বরাদ্দ বার্ষিক বাজেটের ১৫%। যদিও এই মাসে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যায় কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কমপক্ষে আরও এক মাস বা তারও কিছু বেশি সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
করোনা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার জেরে কমেছে হাসপাতালে ভর্তির পরিমান
দেখা যাচ্ছে, এই লকডাউনকালে বেশিরভাগ মানুষ সরকারী হাসপাতালে সুযোগ-সুবিধাগুলির চেয়ে বেসরকারী হাসপাতালে এই প্রকল্পটি বেশি ব্যবহার করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন বিধিনিষেধ ও অন্যান্য গুজবের জেরে বেশিরভাগ মানুষই হাসপাতালগুলি কে এড়িয়ে গেছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। ২২ শে মার্চ জনতা কার্ফুর দিনই এই সামগ্রিক চিত্রের আংশিক প্রতিফলন দেখা গিয়েছিল।
মুকুল একা নন, তৃণমূলে ভাঙনের জন্য অপেক্ষা করে আছেন আরও একজন, লড়াই জোরদার