দীপাবলির ছুটির পরে ফের বসছে সুপ্রিম কোর্ট! প্রথম দিনেই CAA নিয়ে ২৩২ টি আবেদনের শুনানি
দীপাবলির ছুটির পরে ফের বসছে সুপ্রিম কোর্ট! প্রথম দিনেই CAA নিয়ে ২৩২ টি আবেদনের শুনানি
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ফের শুনানি শুরু হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে। দিওয়ালির ৯ দিনের ছুটির পরে সোমবার সেই শুনানি হবে। প্রায় ২৪০ টি আবেদনের এই শুনানির মধ্যে বেশিরভাগই এই আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চ ৩১ অক্টোবর সিএএ ইস্যুতে শুনানির জন্য ২৩২ টি আবেদন তালিকাভুক্ত করেছেন। বর্তমান প্রধান বিচারপতি ইউইউ লতিত অবসর নিতে চলেছেন ৮ নভেম্বর। প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এর আগেই বলেছিল সিএএকে নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা আবেদনগুলি তিন বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানো হবে।
কোথায় বিতর্ক
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন তৈরি হয় ২০১৯-এ। এই আইনে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি সম্প্রদায়ের মানুষদের ভারতের নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছে। এই তালিকায় মুসলিমদের বাদ দেওয়ার ঘটনায় বিরোধী দল ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার তরফে সরকারের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে।
প্রধান আবেদনটি ছিল আইইউএমএল-এর
উল্লেখ করা যেতে পারে এব্যাপারে প্রধান আবেদনটি সুপ্রিম কোর্টে করেছিলেন ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ। তাদের তরফে দাবি করা হয়েছে আইনটি সমতার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছেন। তাদের আরও অভিযোগ ছিল ধর্মের ভিত্তিতে অবৈধভাবে আসা নাগরিকদের একচটি অংশকে নাগরিকত্ব প্রদান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এব্যাপারে ২০২০-র জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছিল কেন্দ্রের কথা না শুনে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের কাজ তারা স্থগিত করবেন না। সুপ্রিম কোর্টের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছিল, ৪ সপ্তাহের মধ্যে এব্যাপারে অবস্থান জানাতে। এর পাশাপাশি সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিল এব্যাপারে সেখানে চলা শুনানি স্থগিত রাখতে।
রাজনৈতিক নেতা এবং বিভিন্ন সংগঠনের তরফেও সুপ্রিম কোর্টে আবেদন
বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা এবং সংগঠনও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ, আরজেডির মনোজ ঝা, তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র, এআইএমআইএম-এর আসাদউদ্দিন ওয়াইসিও। সংগঠনগুলির মধ্যে রয়েছে জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ, অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, পিস পার্টি, সিপিআই, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রিহাই মঞ্চ। এছাড়াও আইনজীবী এমএল শর্মা এবং বেশ কিছু আইনের ছাত্র এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে থাকা তালিকা থেকে জানা যাচ্ছে এই তালিকায় আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা একটি মামলা শুনানির জন্য বিবেচিত হয়েছে।
এছাড়াও যে সব আবেদনের শুনানি
দেশের প্রত্যেক জেলায় বিশেষ দুর্নীতি বিরোধী আদালত স্থাপনের জন্য জনস্বার্থ মামলার শুনানি করবে সর্বোচ্চ আদালত। এই আদালতে অর্থ পাচার এবং কর ফাঁকির মতো অর্থনৈতিক মামলার শুনানি করার কথা বলা হয়েছে। আইন কমিশনকে বিধি সম্মত সংস্থা হিসেবে ঘোষণা করতেও জনস্বার্থ মামলার শুনানি করবে সর্বোচ্চ আদালত। এছাড়াও ব্যালট, ইভিএম থেকে দলীয় প্রতীক সরিয়ে দেওয়ার আবেদন করা অপর একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিও সোমবার, ৩১ অক্টোবর করার জন্য তালিকা ভুক্ত হয়েছে।
দুয়ারে সরকারে এবার চমক ভ্রাম্যমান পরিষেবা, পরিষেবা ডালি হাতে মমতার সরকার