প্রজাতন্ত্র দিবসে টুইট মামলায় এখনই গ্রেফতার নয় শশী থারুর ও ৬ সাংবাদিক, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট
প্রজাতন্ত্র দিবসে টুইট মামলায় এখনই গ্রেফতার নয় শশী থারুর ও ৬ সাংবাদিকক, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ট্র্যাক্টর প্যারেডকে কেন্দ্র করে লাল কেল্লায় হওয়া হিংসাত্মক ঘটনায় কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর ও ৬ জন সাংবাদিকের টুইটের মামলায় এখনই তাঁদের গ্রেফতার করা যাবে না। মঙ্গলবার সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী শুনানি দুই সপ্তাহ পরে রয়েছে এবং এই মামলায় সব আবেদনকারীকে নোটিশ জারি করা হয়েছে। দেশের মুখ্য বিচারপতি এস এ বোবদে বলেন, 'আমরা এই মামলার শুনানি দুই সপ্তাহ পর শুনব ততদিন গ্রেফতারির ওপর স্থগিতাদেশ।’
বিচারপতি বোবদে, এএস বোপান্না এবং ভি রামাসুব্রহ্মণ্যম থারুর ও সাংবাদিক রাজদীপ সরদেশাই, জাফর আঘা, মৃণাল পাণ্ডে, বিনোদ কে জোশ, পরেশ নাথ এবং অনন্ত নাথের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার শুনানি শোনেন। যদিও সলিসিটার–জেনারেল তুষার মেহতা চেয়েছিলেন যে বুধবারই কেসের শুনানি হোক, কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দেয়। মেহতা বার ও বেঞ্চের কাছে বলেন, 'আমি আপনাদের দেখাতে পারি এই টুইটের ফলে লক্ষাধিক অনুগামীদের ওপর কী ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়েছে।’ অন্যদিকে শশী থারুর ও ৬ সাংবিকের হয়ে লড়াই করছিলেন কপিল সিব্বল। বিনোদ কে জোশের হয়ে আইনজীবী মুকুল রোহাতগি আদালতকে বলেন, 'আমি ক্যারাভান ম্যাগাজিনের এডিটরের হয়ে লড়ছি। টুইটে কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগ ছিল না যাতে আঘাত পড়েছে। ২৬ জানুয়ারি কোনও ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর ছিল এবং আমরা পরে তা সংশোধন করে দিই। কিন্তু আবেদনকারীরা টুইটের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেন।’
দিল্লি পুলিশ এই সাত জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, অপপ্রচার ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। প্রসঙ্গত, ২৬ জানুয়ারি ট্র্যাক্টর র্যালিতে একজনের মৃত্যু হয়। ওইদিন দিল্লি পুলিশ একজনকে খুন করেছে বলে তাঁরা টুইট করেছিলেন। এরপরই এঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট শেয়ার করার অভিযোগ আনে পুলিশ।
মতুয়া গড়ে বিজেপির চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা, বড় ব্যবধানে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন তৃণমূলের