অ্যাসিড বিক্রি নিয়ন্ত্রণে সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট
ইদানীং প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হলেই মেয়েদের গায়ে-মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারার প্রবণতা বাড়ছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম-- ভারতের সর্বত্র এই অপরাধপ্রবণতা ঊর্ধ্বমুখী।
ঘটনায় উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট চলতি বছরের ১৬ জুলাই একটি অন্তর্বর্তী নির্দেশিকা জারি করে। বিচারপতি আর এম লোধা এবং বিচারপতি ইব্রাহিম কলিফুল্লার বেঞ্চ ওই নির্দেশিকায় জানিয়েছিল -- প্রথমত, অ্যাসিড বিক্রি করতে হলে পুলিশের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, ক্রেতাকে সচিত্র পরিচয়পত্র (যেমন ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, পাসপোর্ট ইত্যাদি) দেখিয়ে অ্যাসিড কিনতে হবে। তৃতীয়ত, ক্রেতার নাম-ঠিকানা দোকানদার খাতায় লিখে রাখবেন। চতুর্থত, কেন অ্যাসিড কেনা হচ্ছে, তা জানাতে হবে দোকানদারকে। পঞ্চমত, একজন ক্রেতা নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি অ্যাসিড কিনতে পারবেন না। ষষ্ঠত, ১৮ বছরের কম বয়সী কাউকে অ্যাসিড বিক্রি করা যাবে না। সপ্তমত, যে পরিমাণ অ্যাসিড অবিক্রিত (আনসোল্ড) থাকবে, তা জানাতে হবে পুলিশকে। অষ্টমত, বিক্রির তিনদিনের মধ্যে ক্রেতার নাম-ঠিকানা জানাতে হবে স্থানীয় থানাকে।
আরও বলা হয়েছিল, অ্যাসিড আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ৩ লক্ষ টাকা দিতে হবে। প্লাস্টিক সার্জারির ব্যয় বহন করতে হবে সরকারকে। পুনর্বাসনের জন্য দিতে হবে আরও ১ লক্ষ টাকা। বিচারপতিরা বলেছিলেন, এটা অন্তর্বর্তী নির্দেশ মাত্র। এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নিয়ম প্রণয়ন করুক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি।
কিন্তু, আইনজীবী অপর্ণা ভাট এদিন আদালতকে জানান, বিহার, জম্মু-কাশ্মীর ও পুদুচেরি ছাড়া আর কেউ নিয়মাবলী তৈরি করেনি। রাজ্যগুলি শীর্ষ আদালতের কাছে আরও সময় চাওয়ায় বিচারপতিরা তা মঞ্জুর করেন। আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে মুখ্যসচিব ও মুখ্য প্রশাসকদের জবাব দিতে হবে।