'পাকিস্তানের কারখানা আমরা বন্ধ করে দেব?' যোগী সরকারের আইনজীবীকে সুপ্রিম ভর্ৎসনা
বৃহস্পতিবারের পর আবার শুক্রবার। দিল্লি দূষণ নিয়ে এবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের তীব্র ভর্ৎসনার স্বীকার হল উত্তরপ্রদেশ সরকার। মূলত উত্তরপ্রদেশ সরকার পক্ষের আইনজীবীর সঙ্গে সওয়াল জবাব করার সময় সুপ্রিম কোর্টের চিফ জাস্টিস এন.ভি.রামানা এই কথা বলেন।
সুপ্রিম সওয়াল জবাব
শুক্রবার ৩ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় পরিবেশ ও রাজধানীতে ক্রমাগত বাড়তে থাকা দূষণ নিয়ে শুনানি শুরু হয়। এই জনস্বার্থ মামলা চলছে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই। ভারতের অতিরিক্ত দূষণপ্রবণ রাজ্যগুলিকে জবাবদিহির নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতই এদিন আদালতে উপস্থিত হন উত্তরপ্রদেশ সরকারের কৌঁসুলি সিনিওর অ্যাডভোকেট রাঞ্জিত কুমার। রাজ্যের দূষণমাত্রা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তাঁর করা মন্তব্যের জবাবেই কটাক্ষ করে সুপ্রিম কোর্ট।
যোগী সরকারের আইনজীবীর মত
বায়ুদূষণ রাজধানী তথা উত্তরপ্রদেশের নতুন সমস্যা নয়। প্রতিবছর বিষাক্ত বাতাসের প্রভাব পড়ে মানুষের শরীর ও পরিবেশে। তাই সুপ্রিমকোর্টে দূষণরোধে দাখিল করা মামলার শুনানি ছিল এদিন। সেখানে যোগী সরকারপক্ষের আইনজীবী রাঞ্জিত কুমার উল্লেখ করেন, ' লাগাতার বাড়তে থাকা দূষণের সরাসরি প্রভাব পড়ছে উত্তরপ্রদেশের দুগ্ধ ও চিনি শিল্পে।' পাশাপাশি এদিন দিল্লি দূষণ নিয়ে কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট ইন ন্যাশনাল ক্যাপিটল রিজিওনের তথ্য সংক্রান্ত খতিয়ান তুকে উল্লেখ করেন, দিল্লি দূষণে সরাসরি কোনও হাত নেই উত্তরপ্রদেশের। বরং দিল্লির কাছাকাছি থাকা পাকিস্তানের কারখানাগুলি থেকে বাতাসে ভেসে আসছে কারবন-ডাই-অক্সাইড-ের মত বিষাক্ত গ্যাস, যা ক্ষতি করছে বাতাসের বিশুদ্ধতার। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, নিয়ম মেনেই যোগী রাজ্যের সব কারখানায় প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে কাজ করা হয়।
প্রধান বিচারপতির জবাব
আইনজীবী রাঞ্জিত কুমারের এই বেফাঁস মন্তব্যকে কটাক্ষ করে প্রধান বিচারপতি রামানা বলেন, 'তাহলে কি আপনারা চাইছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত পাকিস্তানের সব কল কারখানার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুক?'
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দিল্লির বায়ুতে দূষণমাত্রার সূচক রয়েছে ৩৩৫। ইতিমধ্যেই দূষণের কথা মাথায় রেখে বন্ধ করা হয়েছে রাজধানীর স্কুলগুলি। বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাবতীয় নির্মাণকার্য। ছাড় রয়েছে শুধু চিকিৎসাকেন্দ্র নির্মাণ ক্ষেত্রে।